‘সোনা না পেয়ে কয়েক রাত ঘুমাইনি’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০১৮, ১১:০৬ আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:১০
কমনওয়েলথ গেমস শেষে দেশে ফিরেছে দেশের হয়ে একমাত্র পদক জয়ী বাংলাদেশ শ্যুটিং দল। দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় শুটারদের। আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং শাকিল আহমেদের হাত ধরেই দুটি রৌপ্য পদকলাভ করেছে বাংলাদেশ। কমনওয়েলথ গেমসের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসএ গেমসে সোনা জেতার স্বপ্ন এখন লাল সবুজের শ্যুটারদের। সামনে শ্যুটারদের মান উন্নয়নে উন্নত প্রশিক্ষণের আশ্বাস দিয়েছে ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
বড় ইভেন্টে পদকের প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে শ্যুটিং ইভেন্ট ঘিরে। আর সেই প্রত্যাশা আর প্রাপ্তিকে আরো একবার পূর্ণতা দিয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং শাকিল আহমেদ।
কমনওয়েলথ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ শুটিং দল। বড় মঞ্চে বড় অর্জন। তাই শ্যুটারদের সংবর্ধনায় করা হয়নি কোনো কার্পণ্য।
নিজ দেশের হয়ে বিশ্ব মঞ্চে পদক জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। স্বর্ণের কাছে গিয়েও রৌপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে আব্দুল্লাহ হেল বাকীকে। তাই কিছুটা আক্ষেপ করেই তিনি বলেন, ‘আমার হাতেই গেমটা ছিলো। যদি ১০.১ ও হতো, তাহলেও গেমটা আমার হাতেই থাকতো। আক্ষেপের কারণে শেষ চার-পাঁচ দিন আমি ঘুমাতেই পারিনি ঠিকমতো। এই ভুলটা যেন পরের গেমসে না হয়।’
তবে প্রথমবার কমনওয়েলথে ৫০ মিটার এয়ার পিস্তলে দেশের হয়ে রৌপ্য জেতা শাকিল এখন স্বপ্ন দেখেন বহুদূর যাওয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বিদেশি কোচ আছে, তারা হাই লেভেলের কোচ। এখন মনে হচ্ছে যে আমরা একটা আদর্শ অবস্থানে এসেছি।’
বরাবরই কমনওয়েলথসহ বড় মঞ্চে সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন দেশের শ্যুটাররা। তাই তাদের নিয়ে ফেডারেশনের পাশাপাশি পরিকল্পনার কথা জানালো বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ বলেন, ‘ওদের মোটিভেশনাল সাপোর্টটাই দরকার। ওরা জানে কীভাবে শুটিং করতে হয়। ওরা প্র্যাকটিস করেছে, কোচ যথেষ্ঠ পরিমাণে শ্রম দিয়েছে।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বশির আল মামুন বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, সবটুকু দিয়েই আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো।’
সঠিক পরিচর্যা আর উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে একদিন অলিম্পিকেও পদক জেতার স্বপ্ন সত্যি হবে বাংলাদেশের। সেই স্বপ্ন হয়তো পূরণ করবেন শাকিল-বাকী-শোভনরাই।
এসএস
