ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

এই সুন্দরীরা টেনিসের কোর্ট কাঁপিয়েছেন

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৮, ১৭:৪৫  
আপডেট :
 ০২ জুন ২০১৮, ১১:২৮

এই সুন্দরীরা টেনিসের কোর্ট কাঁপিয়েছেন

টেনিসের কোর্ট মাতিয়ে বেড়ানো নারী তারকাদের প্রতি ক্রীড়ানুরাগীদের আগ্রহের কমতি নেই। কেউ কেউ খেলা দিয়েই মাতিয়েছেন বিশ্ব, কেউ কেউ গ্ল্যামার দিয়ে। তেমন কয়েকজনকে নিয়ে এই ছবিঘর।

বিলি জিন কিং

১৯৪৩ সালে জন্ম নেয়া এই মার্কিন কিংবদন্তী টেনিস তারকা ক্যারিয়ারে ১২৯টি শিরোপা জিতেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি একক গ্র্যান্ডস্লাম। ক্যারিয়ারে প্রায় সাড়ে উনিশ লাখ ডলার প্রাইজমানি জিতেছেন তিনি। উইম্বলডনেই তার আধিপত্য বেশি ছিল।

মার্গারেট কোর্ট

একই সময়ের আরেক তারকা মার্গারেট কোর্ট। এই অস্ট্রেলিয়ান সুন্দরী জিতেছেন ২৪টি একক গ্র্যান্ডস্লাম। মোট শিরোপা ১৯২টি। তার আধিপত্য ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে।

ক্রিস এভার্ট

ফ্লোরিডায় জন্ম নেয়া এই তারকা বিলি জিন-মার্গারেটদের এক দশক পরে কোর্টে এলেও খেলেছেন তাদের সঙ্গে। তাকে বলা হতো বেসলাইনের মেশিন। দু’হাতে এমন সব ব্যাকহ্যান্ড শট নিতেন যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশের শুরু পর্যন্ত তিনিই ছিলেন সবচেয়ে দাপুটে নারী খেলোয়াড়। জিতেছেন ১৮টি গ্র্যান্ডস্লামের এককসহ ১৫৭টি শিরোপা। প্রাইজমানি হিসেবে জিতেছেন প্রায় নব্বই লাখ ডলার।

মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা

কালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়ের জন্ম প্রাগে, ১৯৫৬ সালে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ১৩টি উইম্বলডনের নয়টিই তার জেতা। এর মধ্যে ’৮২ থেকে ’৮৭ পর্যন্ত টানা জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন। এছাড়া ১৮টি এককসহ, দ্বৈত ও মিশ্র মিলিয়ে ৫৯টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে রেকর্ড গড়েছেন। মোট শিরোপা ১৬৭টি।

মনিকা সেলেস

১৯৭৩ সালে যুগোশ্লাভিয়া শাসনাধীন সার্বিয়ায় জন্ম এই হার্টথ্রব তারকার। ১৯৮৯-তে ক্যারিয়ার শুরু করে পরের বছরই জেতেন ফ্রেঞ্চ ওপেন। ১৯৯১ সালে তিনটি ও ১৯৯২-তে সবক’টি গ্র্যান্ডস্লাম জেতেন। ১৯৯৩ সালেও তিনি কেবল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। ঠিক তখনই এক দর্শক জার্মানির হামবুর্গে তার ওপর ছুরি চালিয়ে দেন। এই দুঃখজনক ঘটনার দু’বছর পর কোর্টে ফিরলেও আর আগের মনিকাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নয়তো পরিসংখ্যান অন্যরকমই হতো।

স্টেফি গ্রাফ

নব্বইয়ের সে সময় মনিকা-স্টেফি’র দ্বৈরথ ছিল দেখার মতো। তবে এই সুন্দরীর প্রেমে পড়েননি এমন টেনিসপ্রেমী কমই পাওয়া যাবে। সব সারফেসে সমান দক্ষতা দেখিয়ে তিনি জিতেছেন ২২টি গ্র্যান্ডস্লামের একক শিরোপা। ১৯৮৮ সালে তিনি চার গ্র্যান্ডস্লামের বাইরে অলিম্পিক স্বর্ণ জিতে ইতিহাস রচনা করেন। পশ্চিম জার্মানিতে জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তী ১০৭টি শিরোপাসহ জিতেছেন প্রায় ২ কোটি ১৯ লাখ ডলার প্রাইজমানি।

ভেনাস উইলিয়ামস

মাত্র সাতটি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা মার্কিন খেলোয়াড় ভেনাস অনেকের মতে এ পর্যন্ত ইতিহাসের সেরা দশ নারী টেনিস খেলোয়াড়ের একজন। কিন্তু বোন সেরেনা উইলিয়ামস যেখানে খেলছেন, সেখানে অসাধারণ হয়েও কাজ হয় না। তার ওপর ইনজুরিও বাধা হয়েছে তার জন্য।

সেরেনা উইলিয়ামস

২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম একক জেতা সেরেনা সম্ভবত টেনিস কোর্টে সবচেয়ে শক্তিশালী নারী। এ পর্যন্ত ৭২টি শিরোপা জিতেছেন। দুই বোনের দাপটে বহুদিন টেনিস কোর্টে যেন অন্য কারও নামই নেয়া যায় না।

জাস্টিন হেনিন

সাত গ্র্যান্ডস্লাম জেতা জাস্টিন হেনিনকে বলা হয় মোস্ট অ্যাথলেটিক টেনিস তারকা। এই বেলজিয়ান ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৫০টি শিরোপা।

মারিয়া শারাপোভা

ভালো খেলোয়াড় হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এই রুশ স্বর্ণকেশী। কিছুটা হয়তো পেরেছেন পাঁচটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে। কিন্তু তার সৌন্দর্য যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই দর্শক হৃদয় আকুল করা এই নারী সব সময়ই ছিলেন ও আছেন আলোচনায়। এছাড়া ইভোনে গুলাগং, মার্টিনা হিঙ্গিস, কিম ক্লাইস্টার্স, মেরি পিয়ার্স ও আরাংজা সানচেজ ভিকারিওসহ আরো কিছু খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের মনে রাখবে টেনিস কোর্ট।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত