দেশে ফিরেই সুখবর দিলেন সাকিব
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০২ আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১২
আঙুলের চিকিৎসা শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রোববার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোঁছান তিনি।
এই বছরের ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। সেই চোট পুরোপুরি না সারার আগেই নিদাহাস ট্রফি, আইপিএল আর আফগানিস্তান সিরিজে খেলেছেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়ই আঙুলের ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেই ব্যথা নিয়েই খেলেছেন এশিয়া কাপে, এর পরেই অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ভর্তি হতে হয়েছিল দেশের হাসপাতালে।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন যান সাকিব। সেখান থেকে নয় দিন পর দেশে পা রেখেই ক্রিকেট প্রেমিদের সুখবর দিলেন বাংলাদেশ দলের প্রাণ ভোমরা সাকিব আল হাসান। জানালেন, বাঁহাতের কনিষ্ঠায় জটিল ইনফেকশন (সংক্রমণ) এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আঙ্গুলে ব্যথাও নেই। এখন প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, এটা বাড়ল কিংবা আর কোনো সমস্যা হলো কি না। তবে এখন পর্যন্ত ভালোর পথেই আছে। দ্রুত মাঠে ফিরতে আশাবাদী বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে থেকেই জানা গিয়েছিল, আগামী কয়েক মাসে সাকিবের সার্জারি করানো যাবে না। কারণ সংক্রমণটা তার হাড়ে চলে গিয়েছে। মূলত সেটাকেই নিয়ন্ত্রণে এনে খেলার উপযোগী করার চেষ্টা চলছে।
সার্জারি সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আগামী ছয় থেকে বারো মাসের মধ্যে সার্জারি করা যাবে না। কারণ, যদি ইনফেকশন (সংক্রমণ) বোনের ভিতর থেকে থাকে তাহলে, সেটা সরার সম্ভবনা নেই। কারণ সেখানে রক্ত যায় না। এন্টিবায়োটিক রক্তের মাধ্যমেই ছড়ায়। যেখানে রক্ত যায় না সেখানে এন্টিবায়োটিক কাজ করবে কীভাবে! যে কারণে ছয় থেকে বারো মাসের ভেতরে কোনো সার্জারি করা যাবে না।’
তবে সংক্রমণের বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন সাকিব। কারণ যদি সেটা না হতো, তাহলে অবশ্যই আবার অস্ত্রেপচার লাগতো।
সাকিব বলেন, ‘অপারেশনের বিষয়টা আসলে খুব অনিশ্চিত। আবার মনে হয় অপারেশন ছাড়াই খেলা যেতে পারব। সেটাই যদি হয় তাহলে এটাই হবে সবচেয়ে বেস্ট অপশন।’
মেলবোর্নে চিকিৎসক গ্রেগ ছাড়াও একজন থেরাপিস্টকে দেখিয়েছেন সাকিব। তার দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী পুনর্বাসন চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব।
‘সব থেকে ভালো দিক হলো, সার্জারি না করেই খেলা যেতে পারে। যাক এখন যেহেতু সার্জারির সুযোগ নেই, তাই আমি বা ফিজিও দেখব; কীভাবে সার্জারি ছাড়া খেলার জন্য তৈরি হওয়া যায়। আমি ইতিমধ্যে রিহ্যাব শুরু করেছি। ওইখানে একজন থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। তিনি যা যা দিয়েছেন, আপাতত আমি তা করছি। যত বেশি করতে পারব তত আমার জন্য ভালো।’
বিশ্বকাপের আগে মাঠে ফেরার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আসলে এটা এমন একটা সমস্যা যেটার কোনো সঠিক সময় নেই। আমি আগামী মাসেও খেলতে পারি। কারণ আমার হাতে এখন কোনো ব্যথা নেই। খুব ভালো ফিল করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রিহ্যাবে তাড়াতাড়ি হাত খেলার উপযোগী হয়ে আসতে পারে।’
‘আবার আসার পর যদি আবার ব্যাথা হয় তাহলে সার্জারি করতে পারব। এটা আসলে শিউর বলাটা কঠিন। দেখা গেল এক মাসেই আমি আবারও খেলতে পারি।’
ওয়াইএ/