ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মহাসড়কে কালভার্ট নির্মাণ, দুর্ভোগে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৪৫

মহাসড়কে কালভার্ট নির্মাণ, দুর্ভোগে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা

খুলনা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝিনাইদহের ছালাভরা নামক স্থানে কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের জন্য সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় যানজট কম থাকলেও রাতের বেলায় তা তীব্র আকার ধারন করে। এতে ব্রীজের দু-পাশে ২ থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে।

জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এই কালভার্টের মাঝের অংশ ধ্বসে যায়। পরে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় কোন রকমে কালভার্টের উপরেই এক সাইডে স্টিলের বেইলি ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এই অংশটিই সড়ক পথে খুলনার সঙ্গে রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যার ফলে গড়ে প্রতি ঘন্টায় এই সড়কে যাত্রীবাহি বাস, মালবাহী ট্রাকসহ প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়ক বিভাগের নজরদারির অভাব আর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতি ক্রমেই দুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছে বলে এই সড়কে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা জানান।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীনে ৮৫ লাখ টাকা ব্যায়ে এই সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজ। তিন মাসের মধ্যে কালভার্টটি নির্মান কাজ শেষ করার কথা। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে যেমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে তেমন জনদুর্ভোগ আরো বাড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

বেনাপোল থেকে রাজশাহীগামী ট্রাকের চালক শরিফ জানান, রাতে মালবাহী ট্রাক নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। এক সাইড দিয়ে কালভার্ট পার হওয়ার পথটিও ভালো না। ফলে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। যে কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।

অপর এক বাস চালক মারুফ আহম্মেদ বলেন, কালভার্ট নির্মাণ কাজের জন্য দীর্ঘ সময় যানজটে দাড়িয়ে থাকতে হয়। এতে সময়মত গন্তব্যে পৌছাতে পারিনা। নির্মানাধীন ব্রীজের এক পাশে রাস্তা করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তা করেনি। যার ফলে সমস্যা বেড়েই চলেছে।

নিমার্ণাধীন ব্রীজের ঠিকাদার রেজাউল ইসলামের দাবি, কাজে কোন ধীর গতি নেই। ২৭ জন শ্রমিক কাজ করছে। আসলে কালভার্টের আগে যে পিলার ছিল তা ভাংতে একটু সময় লেগে যাচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানান এই ঠিকাদার।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য জনবল আরো বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এম এম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত