কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ হামিমের

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রের হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের নাম হামিম ফরাজী (১১)। হামিম এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামিম উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও একই এলাকার শ্রমিক আলমগীর এর পুত্র।

ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল যুবকের

জানা যায়, গত ২০ দিন আগে ওই স্কুল ছাত্র ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পরে গিয়ে হাতে ব্যাথা পায়। পরে স্থানীয় কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদার এর মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হয়। পরে অবস্থা খারাপ মনে হলে তাকে হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। রফিকুল ইসলাম ফরাজির হাতের অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে তার স্বজনরা স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হামিমের বড় বোন রোকসানা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমার ভাই হামিম ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে তার হাতে ব্যাথা পেলে স্থানীয় আলী আকাব্বর সরদার নামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গেলে তিনি হাতে লতা পাতা দিয়ে ঝাপ বেধে দেন। এরপর ওই হাতের পঁচন ধরলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার ভাইর হাতের অবস্থা খারাপ দেখে গত ৩ জানুয়ারি তার ডান হাত কেটে ফেলেন। হামিম এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

এ ব্যাপারে কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদার এর ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রথমে আলী আকাব্বর সরদার চিকিৎসা করেছেন, আমার কাছে আসলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।

এ ব্যাপারে বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি বলেন, আলী আকাব্বর নামে স্থানীয় এক কবিরাজের ভুল চিকিৎসার কারণে স্কুল ছাত্র হামিম এর হাতের পঁচন ধরায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা পঁচন ধরা ওই ডান হাত কেটে ফেলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর