ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুর্নীতি সব অর্জন ম্লান করে দেয়: দুদক চেয়ারম্যান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:০৭

দুর্নীতি সব অর্জন ম্লান করে দেয়: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি সমাজের সব অর্জনকে কুঁড়ে কুঁড়ে ধ্বংস করে দেয়। এমনকি মানুষের সক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। তাই দুর্নীতি অনেকটা ক্যান্সারের মতো।

মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম বাংলাদেশ-এর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ দুর্নীতি প্রতিরোধে অর্ন্তভুক্তিমূলক অভিগমনের কাঠামো বিন্যাস নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নে পরিণত করতে হলে দুর্নীতি নির্মূল করতেই হবে। সরকারি পরিসেবা প্রদানে শুধু তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়রানি-অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ মেশিনের পেছনে যিনি আছেন, তিনি কিন্তু মানুষ। তাই প্রযুক্তির পাশাপাশি সরকারি সেবা প্রদান প্রক্রিয়ারও পদ্ধতিগত সংস্কার করতে হবে। দুদক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি ঘটার আগেই বাধা দিচ্ছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে, জনগণকে সচেতন করছে এবং সর্বশেষ অপরাধ ও অপরাধী শনাক্ত করে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে।

তিনি বলেন, কমিশন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫টি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে এবং এর মাধ্যমে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুদক নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করছে। বিগত চার বছরে কমিশনের কার্যক্রমের মাধ্যসে সমাজে হয়তো এই বার্তা দেয়া সম্ভব হয়েছে যে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীদেরকে সমভাবে আইন-আমলে আনা হচ্ছে। তবে একথাও ঠিক এতে স্বস্তির অবকাশ নেই। আমাদেরকে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি বন্ধ কিংবা সুশাসনের জন্য মাইন্ডসেট পরিবর্তন দরকার। তবে একথাও ঠিক পরিণত মানুষের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা কঠিন। তাই কমিশন তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী মানসিকতা প্রস্ফূটিত করার জন্য বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার সৌন্দর্য হচ্ছে সক্ষমতার বিকাশ। জাতি গঠনে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। আমরা একটি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম সৃষ্টির চেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা,অভিভাবক তথা মা-বাবাদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে চাই। আমাদের অনুধাবন করার সময় হয়তো এসেছে যে, দেশের প্রায় এক কোটি প্রবাসী যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তার অনেকাংশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে, শুধু আমাদের সক্ষমতার অভাবে।

অক্সফাম বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রিডিরেক্টর মোস্তফিজুর রহমান অক্সফাম বাংলাদেশ-এর ছয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক নাসিম আনোয়ার, উত্তম কুমার মন্ডল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত