হামলায় বাংলাদেশ জার্নালের প্রতিনিধিসহ ৫ সাংবাদিক আহত

নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে বাংলাদেশ জার্নালের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম সায়েমসহ ৫ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর নবীগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহতদের নারায়ণগঞ্জ ৩শ' শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়লো ২০ বিঘা জমির পানবরজ 

অন্যান্য আহতরা হলেন, আনন্দ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন, অগ্রবাণী প্রতিদিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জামাল তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন অনলাইন পোর্টালের ফটো সাংবাদিক রিপন মাহমুদ ও জনতার কাগজের রিপোর্টার মিজানুর রহমান। এসময় সাংবাদিক মিজানের মোটরসাইকেলটিও কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আহত সাংবাদিক লিংকন বাদী হয়ে এম সার্কাস এলাকার মিঠু মিয়ার ছেলে সোয়াদ ওরফে সোহাগকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৪।

এর আগে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রহমান নামক এক নামধারী আওয়ামী লীগ নেতা ও ১১নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রহমানকে আটক করা হয়। এছাড়া হামলায় ব্যবহৃত একটি ধারলো অস্ত্র জব্দ করা হয়।

আহত সাংবাদিকরা জানান, সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সোনারগাঁয়ের যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদী পার হতে হাজীগঞ্জ ঘাট থেকে ফেরিতে ওঠেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। ফেরি চালু হবার পর দেখা যায়- অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক এক শিশুকে মারধর করছে। মারার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে ঐ যুবকরা।

গালাগাল করতে বারন করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। এক পর্যায়ে ফেরি থেকে ধারালো একটি শারস (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এতে সাংবাদিকেরা আহত হন।

এক পর্যায়ে ওই যুবকের হাত থেকে ধারালো শারস ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটক করেন আশেপাশের লোকজন। পরে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি এসে হামলা করা ওই যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সহযোগিতা করে। এমনকি হামলা করা অস্ত্রটিও পানিতে ফেলে দেয়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আবদুর রহমানকে আটক করে।

আটক আবদুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, ওই যুবকের নাম সোয়াদ। সে হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মিঠুর ছেলে। হামলাকারীকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতায় করায় আবদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। আবদুর রহমান গত নাসিক নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহার নামীয় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে