ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩০ বছর পর সগিরা মোর্শেদ হত্যার চার্জশিট

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৪০

৩০ বছর পর সগিরা মোর্শেদ হত্যার চার্জশিট

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় সগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ৩০ বছর আগে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬ মাস তদন্ত করে ১৩০৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে পিবিআই।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরি, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির পিবিআইর সদর দপ্তরে এ তথ্য জানান সংস্থাটি প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

বনজ কুমার মজুমদার জানান, ৬ মাস তদন্তের পর পিবিআই এই অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে। অভিযোগপত্রে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পিবিআই বলছে, সগিরা মোর্শেদকে নিয়ে আসামিদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। আসামিরা আর সগিরা মোর্শেদ একই বাড়িতে থাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রেষারেষি বিরাজমান ছিল। আসামিরা উপর থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলালে তা সাগিরার রান্নাঘরে পড়ত। এসব নিয়ে সগিরা প্রতিবাদ করায় প্রায় সময় আসামিদের সাথে কথাকাটাকাটি হতো। সাগিরার শাশুরি তাকে অধিক পছন্দ করার কারণে আসামিদের মধ্যে এক ধরনের মনঃক্ষুণ্ণ ছিল। এছাড়াও সগিরার কাজের মেয়েকে আসামি ডা: হাসান আলী মারধর করায় পারিবারিক বৈঠকে আসামিদের দেখে নিবেন বলে সগিরা।

এদিকে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন সগিরা মোর্শেদ। পিবিআই দীর্ঘদিনের মামলাটি দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়েছে বলে জানান বনজ কুমার।

তিনি বলেন, মামলটি যখন পিবিআইয়ের কাছ আসে তখন আমরা বিয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেই। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি নিহত সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়। এরমধ্যে শাহীন তার ৩ তলার বাসা থেকে সগিরা মোর্শেদের রান্নাঘর ও বারান্দায় ময়লা ফেলত। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। ‘তুমি’ বলা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

বনজ কুমার মজুমদার জানান, সগিরার কাজের মেয়ে জাহানুরকে মারধর করে ডা. হাসান আলী চৌধুরি। এই নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিদের নিয়ে রাজারবাগ বাসার তৃতীয় তলায় সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ প্রকাশ্য দিবালোকে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করে।

এই ঘটনায় ২৫ জন কর্মকর্তা মামলার দায়িত্ব পান। মামলা চলাকালে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি কেউ। দীর্ঘ চার্জশিট তৈরি হলেও এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র, মোটরসাইকেল, নিহতের পোষাক ও রিকশা উদ্ধার করা সম্বব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত