ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ক্লাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো স্কুলছাত্রী

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:১৫  
আপডেট :
 ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:১৭

ক্লাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো স্কুলছাত্রী

ক্লাস চলাকালে স্কুলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী তন্বী আক্তার। ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর জনসংঘ উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

তন্বী আক্তার আকোটেরচর ইউনিয়নের নতুন ছলেনামা গ্রামের মো. শাহজাহান মৃধা ও ফরিদা বেগমের মেয়ে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো তন্বী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলের কুচকাওয়াজ সমাবেশ শেষ করে ক্লাসে প্রবেশ করে স্কুলছাত্রী তন্বী। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠীরা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যান তন্বীকে। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মাদ ওমর ফয়সাল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তন্বীর সহপাঠী তাছলিমা আক্তার জানায়, আমার পাশেই বসেছিল তন্বী। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে আমার শরীরের ওপর ঢলে পড়ে সে। পরে আমি ও অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উঠাতে চেষ্টা করি। কিন্তু তাকে উঠাতে পারিনি আমরা। ক্লাসেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ খান বলেন, তন্বী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু মেয়েটিকে বাঁচাতে পারলাম না।

সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ওমর ফয়সাল বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তন্বী মারা গেছে। তন্বীকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন মৃত ছিল। মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

খবর পেয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূরবী গোলদার হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তন্বীর শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে সমবেদনা জানান।

সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, মরদেহের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন করা হয়েছে। বাবা-মায়ের কোনো অভিযোগ না থাকায় তন্বীর মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল বলেন, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, তন্বীর পরিবার অত্যন্ত সহজ-সরল এবং দরিদ্র।

তন্বীর অকাল মৃত্যুতে বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীদের আহাজারিতে হাসপাতাল চত্বর এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। আকস্মিক সন্তান হারিয়ে তন্বীর মা পাগলপ্রায়। হাসপাতাল চত্বরে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে তিনি বিলাপ করছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত