শিক্ষকদের প্রতি দুদক চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি

শিক্ষকদের প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় কোনোভাবে দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। যে ছেলে স্কুল ও কলেজ থেকে পাস করে বের হচ্ছে সে যেন জনসম্পদের বদলে জন-আপদে পরিণত না হয় সেদিকে সব শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল যেন জন-আপদ তৈরির কারখানা না হয়।

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তীব্র দাবদাহ: চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সব ধরনের সরকারি নীতির বাইরে কোচিং চালানো যাবে না। সব ধরনের গাইড ও নোটবই বন্ধ করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসককে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দপ্তরের প্রধান দায়িত্ববোধসম্পন্ন হলে সেই দপ্তরে দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। আমরা অনেক সময় দায়িত্ব পালনে চাপের মুখে নতিস্বীকার করি। এটি করবেন না। পদ–চেয়ারের লোভ সামলানো গেলে অনেক কিছু করা সম্ভব।’

যেকোনো ধরনের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তথ্য দিতে ১০৬ নম্বরে নাম–পরিচয় না দিয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান চেয়ারম্যান। বলেন, ‘মাদক গডফাদার হোক আর সাধারণ গডফাদার হোক, কোনো ধরনের দুর্নীতিবাজ বাদ যাবে না। তিনি যত বড় আমলা বা রাজনীতিক হোন না কেন।’

সরকারি কর্মকর্তাদের দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে এমন কোনো চাপওয়ালা ব্যক্তি নেই, যার চাপের কাছে আপনারা মাথা নত করবেন। তিনি বা তারা যত বড় শক্তিশালী হোন না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। নদী, খাল, সরকারি জমি দখলকারী ব্যক্তি যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি মানে শুধু অর্থনৈতিক দুর্নীতি নয়—দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ সময় জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।