ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাদ্রাসাছাত্রীর ঘরে ঢুকে বিষ খাওয়ালো বখাটে

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৩৪

মাদ্রাসাছাত্রীর ঘরে ঢুকে বিষ খাওয়ালো বখাটে
প্রতীকী ছবি

প্রতিবেশী বখাটের দেয়া কিটনাশক মিশ্রিত কোমল পানীয় পান করে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যশোরের মণিরামপুরের মাদ্রাসাছাত্রী পাপিয়া খাতুন (১৫)। সে উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের নুর ইসলাম দফাদারের মেয়ে এবং ফতেয়াবাদ মদিনাতুল উলুম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনায় বখাটে সাজিম সরদারকে (২৪) আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। সাজিম একই এলাকার মাহাবুব সরদারের ছেলে।

নুর ইসলাম থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, প্রতিবেশি বখাটে সাজিম বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। তার মেয়ে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি সাজিমকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজিম মেয়েকে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী রান্নঘরে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সাজিম কৌশলে ঘুরে ঢুকে একটি কোমল পানীয়ের বোতল তার মেয়েকে দিয়ে পান করতে বলে। তার মেয়ে সরল বিশ্বাসে তা পান করে এবং বিষের গন্ধ পায়। এসময় চিৎকার দিলে তার মা এগিয়ে আসলে সাজিম পালিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ্য অবস্থায় দেখতে পান। সাথে সাথে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ওই রাতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মেয়েকে ঢাকায় রেফার করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে পাপিয়া সেখানে চিকিৎসাধীন।

নুর ইসলাম জানিয়েছেন, বখাটে সাজিমের একটি চায়ের দোকান আছে মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে। সে প্রায় সময়ই তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু তার মেয়ে কখনো রাজি হয়নি। প্রতিবেশি হওয়ায় কথাবার্তার একপর্যায়ে কোমল পানীয়ের মধ্যে ঘাষমারা বিষ মিশিয়ে তা পান করতে বলে তারা মেয়ে পান করে। তার মেয়ের শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার এসআই জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ঘটনা ১৪ তারিখের। আর পুলিশ জানতে পারে গত বুধবার। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় বিষ পান।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত সাজিমকে আটক করা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, মেয়েটি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত