ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কক্সবাজারে স্কুলে স্কুলে ভিন্ন এক আমেজ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৪১  
আপডেট :
 ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৫০

কক্সবাজারে স্কুলে স্কুলে ভিন্ন এক আমেজ

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন স্কুল এবং দাখিল মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন। শনিবার সকাল ৯টায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বিকেলে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নির্বাচিতরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একজন প্রধানমন্ত্রী ও কয়েকজন মন্ত্রী নির্বাচন করে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। এ মন্ত্রিসভা এক বছর মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে শিক্ষার্থীদের স্বর্তস্ফুর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ে। সবার চোখে-মুখে ছিল ভিন্ন এক আমেজ। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। এতে সহযোগীতা করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক এবং অভিভভাবকরা।

টেকনাফের হোয়াইক্যং আলহাজ আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আশিষ কুমার বেদাজ্ঞ বলেন, এ নির্বাচনে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেছে। এতে ভোট দেয় বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি করে এবং সর্বোচ্চ তিনটি শ্রেণিতে দুইটি করে মোট আটটি ভোট দিয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ছালেহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ানোর উদ্দেশ্য সামনে রেখে একযোগে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক এবং অভিভভাবকরা।

তিনি জানান, জেলায় এ বছর ২০৩টি বিদ্যালয় ও ১০৭ টি দাখিল মাদ্রাসায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে একটি প্রতিষ্ঠান (জেলা শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী) তাদের পূর্ব নির্ধারিত অন্য কর্মসূচির কারনে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন কিছুটা পিছিয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত