ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২৩

ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের আভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

রোববার সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও শহরের একটি হোটেলে মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ হওয়া এই মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রকাশিত তালিকায় বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিত ওই তালিকা প্রত্যাখান করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম বুলু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২০১৭ সালে সদর উপজেলার ১৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এবং অনিয়মের মাধ্যমে ওই তালিকা প্রণয়নের অভিযোগ ওঠায় তা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত বছরের ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সাবেক জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর ও ডিপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেশকিছু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দিয়ে বিতর্কিত বেশকিছু ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৭২ জনের নাম চুড়ান্ত করে তালিকা ঢাকায় প্রেরণ করে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, বিভিন্ন উপজেলায় যাচাই বাছাইয়ের কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রদর্শনের জন্য নোটিশ কোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হলেও সদর উপজেলার তালিকা প্রকাশে টালবাহানা করা হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে তালিকা সরবরাহ করেন তাতে আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল আলী, বিনিতা দাস, রফিজ উদ্দীন মেম্বার, আইয়ুব আলী, আতিয়ার রহমানসহ বেশকিছু অমুক্তিযোদ্ধার দেখা যায়। এদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের বয়স ৭১ সালে ৪/৫ বছর ছিল।

অপরদিকে নুরুল হক, রবি উড়াও, পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম, তারাপদ সরকার, জয়নাল আবেদীন, দীনেশ চন্দ্র রায়, জুলফিকার হোসেন কান, মোয়জেদ আলী, মনীন্দ্র নাথ রায়, আশ্রাফ আলী বাটলা, আমজাদ হোসেন, লক্ষীন্দর বর্মন, সামিউল ইসলাম ও আব্দুর রবসহ অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হতে বাদ দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা শংকর দে ধারার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা শামীম হোসেন, সচিন্দ্র নাথ বর্মনসহ অনেকে।

এ ব্যাপারে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জানান, ২০১৭ সালের ১৬৮ জনের তালিকা থাকলেও ভাতাভোগী ৭২৭ জনের শতকরা ১০ ভাগ নাম তালিকা করার নির্দেশনা থাকায় এবার ৭২ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে ৯৬ জন তালিকা থেকে বাদ পড়ে।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ থাকলে পুনরায় যাচাই বাছাই করে অভিযুক্তদের বাদ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত