চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭

যশোরের চৌগাছায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করে মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। উপজেলার সলুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাদী রফিকুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর সাথে কয়েকদিন পূর্বে পারিবারিক দ্বন্দ হয়। এতে তার স্ত্রী রাগ করে পুড়াপাড়ায় তার পিতার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোতা মিয়ার মধ্যস্থতায় তারা আবার ঘরসংসার শুরু করেন।

পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার ২ যাত্রী

রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার আমি সলুয়া বাজারে কাঁচামাল বিক্রয় করতে আসার পর বাড়ি থেকে আমার ছেলে মুজাহিদ (৯) এসে জানায় কয়েকজন প্রতিবেশি তার মাকে মারপিট করছে। আমি দ্রুত বাড়ি গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী আহত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার মাথার চুল কাটা।

চৌগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিককুলের স্ত্রী জানান, তিনি নকশিকাঁথা, বিছানা চাঁদরসহ বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করেন। এতে তার পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। একারণে তার প্রতিবেশিরা তাকে অন্য চোখে দেখতো।

তিনি বলেন, তারা আমার চারিত্রিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই তারা আমাকে বেদম মারপিট করেছে এবং মাথার চুল কেটে দিয়েছে।

চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সলুয়া গ্রামের রব্বানীর ছেলে আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম, আহমদ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন (২৩) ও তার মা অজুফা বেগম, হাসান আলীর স্ত্রী শিউলি বেগম (২৬), সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম (৪২) ও জামাল হোসেনের স্ত্রী শাপলা খাতুন (৩৫)।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর