ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৫৪

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম। জেলার ভৌগলিক আবহাওয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় ক্যাপসিকাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে অনেকে। আর এতে করে গ্রামে বেকার যুবকের আত্ম কর্মসংস্থানের যেমন সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই খাবারে পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে ক্যাপসিকাম নামক সবজি।

ক্যাপসিকাম একটি বিদেশী সবজি। এই সবজি বিভিন্ন পদের রান্না করা খাবারকে মুখরোচক করতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অনেকে এটি ছালাদ হিসেবেও খেয়ে থাকে। বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, পাঁচ তারকা রেষ্টুরেন্ট, চাইনিজ খাবারের দোকানগুলোতে ক্যাপসিকাম সবজি সরবরাহ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া নুরনগর গ্রামে এবারও বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেছে কৃষকেরা। এলাকার আব্দুর কাদের নামের একজন কৃষিবিদ তার ২০ বিঘা জমিতে এবছর ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। সাধারণত মাটি উর্বর হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয় এই গ্রামে।

মাঠে ক্যাপসিকাম চাষ করা কৃষক গোলাম আলী বলেন, ক্যাপসিকাম সবজির বীজ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আনে তারা। বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পরপরই বীজ থেকে চারা গজানোর পর চারা মাটিতে রোপন করতে হয়। অক্টোবর-নমেম্ভর মাসে চারা মাটিতে রোপনের উপযোগী সময়। চারা লাগানোর এক মাসের ভিতরে গাছে ফল আসতে থাকে। গাছে ফল আসার পনের দিন পরেই গাছ থেকে ফল তোলা যাবে। ক্যাপসিকাম সবজি চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৫ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপন করা যায়।

ফার্মের ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন, গতবছর ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো লাভ হয়। যার কারণে চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম সবজি চাষ করা হয়েছে। জমিতে লাগানো প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। চুয়াডাঙ্গার ক্যাপসিকামের বাজার চাহিদা কম হলেও ঢাকা ও চিটাগাং এই সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বড় বড় ব্যাপারীরা চুয়াডাঙ্গায় এসে গ্রাম থেকে ট্রাক বোঝাই ক্যাসপিকাম কিনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথম চালানে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকার ক্যাপসিকাম সবজি বিক্রি করা হয়েছে। জমিতে এখনো ৬ লাখ টাকার মতো সবজি রয়েছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান জানান, জেলার আবহাওয়া ভাল হওয়ায় এখানে ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয়। অল্পসময়ে একটু পরিচর্যা করলেই এই চাষে লাভজনক হওয়া যায়। জেলার সাধারণ কৃষকদের মাঝে ক্যাপসিকাম চাষে উৎসাহ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত