ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চার পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৭  
আপডেট :
 ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০১

চার পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল (সদর) আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি একই আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। মামলা নং-সিআর-১০৯/২০২০।

মামলার আসামিরা হলেন, লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজত থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এসময় ভয়ে তিনি কারাগার পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়।

পরে তারা নুর আলমকে সেখান থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুলে দিলে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারেন। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়।

৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবিকৃত টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসার জন্য বলা হয়। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। দাবিকৃত সম্পূর্ণ টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল জানান, ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টরিতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত