ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাবনায় অনুদান পেয়ে অর্ধশত হিজরা ব্যবসায় নামছেন

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:৩৫  
আপডেট :
 ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:৪২

পাবনায় অনুদান পেয়ে অর্ধশত হিজরা ব্যবসায় নামছেন

পাবনায় হিজরা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে একশ জনকে দশ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে পাবনা সমাজসেবা অধিদপ্তর।

সোমবার পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনগ্রসর ব্যক্তিদের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। পাবনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আর্থিক অনুদান পাওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন রয়েছেন হিজরা। তারা মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠানো ছেড়ে কেউ বিউটি পার্লার, কেউ কম্পিউটার পরিচালনা, কেউবা মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান পরিচালনা করবেন বলে জানান। অন্যরাও এরকম ব্যবসা করবেন।

পাবনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাশেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহেদ পারভেজ, সমাজসেবা পাবনার সহকারী পরিচালক আ.কাদের, প্রবেশন অফিসার পল্লব ইবনে শাইক প্রমুখ। কর্মসূচির উপর স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার গোলাম সরওয়ার।

পাবনা জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক মো. রাশেদুল কবীর জানান, পাবনা জেলায় বসবাসরত হিজরা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু ব্যক্তিকে ২০১৮-১৯ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দলীয়ভাবে ভাগ করে হিজরা জনগোষ্ঠিকে সেলাই, কম্পিউটার পরিচালনা ও বিউটি পার্লারের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বেদে ও অনগ্রসর গোষ্ঠিকে কম্পিউটার পরিচালনা, বিউটি পার্লার ও মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে ৫০ জন হিজরাকে ৫ লাখ এবং বেদে ও অনগ্রসর ৫০ জনকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিজরা শফিকুল ইসলাম বিউটি জানান, তিনি বর্তমানে ব্র্যাক এনজিওতে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কাজ পাওয়ার পর তার জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে এসেছে।

নকিবুল ইসলামসহ একাধিক হিজরা বলেন, তারা যে যে ট্রেডে প্রশিক্ষণ পেয়েছে, সে সেই ধরণের কাজে নিয়োজিত হতে ইচ্ছুক। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সম্ভব তা হচ্ছিল না। এখন স্বল্প পুঁজি দিয়ে হলেও তারা কিছু একটা করতে পারবেন।

প্রধান অতিথি কবীর মাহমুদ বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকার যে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে তাতে কাউকে নিচু থাকতে হবে না। শ্রেণিবৈষম্যের নিরসন ঘটবে। তিনি আরো বলেন, তাদের দলীয়ভাবে গ্রুপ করে একটি করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য জেলা সমাজ সেবা ও জেলা প্রশাসন বিধি মোতাবেক আর্থিক যোগান দেবার ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত