ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বৈঠকে ৪২ সাবেক সচিব

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৫  
আপডেট :
 ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৮

বৈঠকে ৪২ সাবেক সচিব
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে কাজ করতে চান সাবেক সচিবরা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ ৪২ জন সাবেক সচিব এক বৈঠকে এই মত প্রকাশ করেছেন। চিঠি দিয়ে বৈঠকটি আহ্বান করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান।

এই বৈঠকে একটি ফোরাম বা সংগঠন করার বিষয়ে একমত হয়েছেন সরকারের এই অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা।

দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও তার ফলাফলকে ত্বরান্বিত করতে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে চান তারা। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।

এই সম্মিলিত প্রয়াসের উপায় ও ধরন কী হওয়া উচিত বা সাবেক সচিবদের সমন্বয়ে কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম করা যায় কি না, তা আলোচনার জন্য তিনি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। বৈঠকে ৭৩,৭৭, ৭৯,৮১, ৮২ ও ৮২ (বিশেষ), ৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে একটি সংগঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে একটি অরাজনৈতিক, সেবা ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের খসড়া করার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গঠনতন্ত্র খসড়ার উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, একটি অরাজনৈতিক, সেবা ও গবেষণাধর্মী ফোরাম গঠনের জন্য ২৭ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিতে এক জায়গায় হয়েছিলেন অবসারপ্রাপ্ত ৪২ জন সচিব। উদ্যোক্তারা সবাইকে ডাকতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সবাইকে জানানো হবে।

তিনি জানান, গঠনতন্ত্রের খসড়া করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মক্ষম সব সচিবকে নিয়ে একটি সাধারণ সভা করা হবে, যেখানে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেবা ও গবেষণাধর্মী সংগঠনের জন্য গঠনতন্ত্রের খসড়া করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে যারা কাজ করতে পারবেন, তারা কাজ করবেন। সেই লক্ষ্যেই একটি ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফোরামের কার্যক্রম চালানোর পর বোঝা যাবে কতটা ভালোভাবে কাজ করা যাচ্ছে।’

বৈঠকে উপস্থিত সাবেক একজন সচিব বলেন, রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্যে এই বৈঠক ডাকা হয়নি। কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বসা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘পুনর্মিলনী বলা হয়েছিল। আসলে সাংগঠনিক কাঠামো না থাকলে ভালো উদ্যোগও কাজে লাগানো যায় না।’

একই কথা বলেছেন সাবেক সচিব কাজী আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে একজন ফোন করে ডেকেছিলেন। সেখানে গিয়ে আমার মনে হয়েছে এক ধরনের পুনর্মিলনী। বেশি কিছু আলোচনা হয়নি। অরাজনৈতিক ও সেবামূলক সংগঠন হিসেবে গঠনতন্ত্রের খসড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সাবেক সচিব শহিদুল হক বলেন, ‘অরাজনৈতিক ফোরাম করার জন্য বসা হয়েছিল। সাংগঠনিক কাঠামো না থাকলে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই ফোরাম করার কথা হয়েছে।’ চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ফোন পেয়ে গেছি।’

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব সোহরাব হোসাইন, মিজানুর রহমান, এ এস এম রশিদুল হাই, আতাউর রহমান, সিরাজুল হক, ইব্রাহীম হোসেন খান, সি কিউ কে মুশতাক, মোহাম্মদ মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ, এম এ কাদের সরকার, মিকাইল শিপার, সেলিনা আফরোজ, শহিদুল হক, কাজী আখতার হোসেন, মাহবুব আহমেদ, আবদুল হান্নান প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত