ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি গাছ কেটে নিলেন বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান!

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৩

সরকারি গাছ কেটে নিলেন বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান!

বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে রিট হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদন করেন গৌরনদীর মাহিলাড়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী।

রিট আবেদনে চেয়ারম্যান পিকলুসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়। অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, বরিশালের দুদকের বিভাগীয় পরিচালক, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশালের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, গৌরনদীর নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

শুনানী শেষে আদালত সরকারি সড়কের গাছ কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. চৌধুরী নাছিমা। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন তৌফিকুল ইসলাম।

রিট আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের এফসিডি প্রকল্পের মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম ও বিল্বগ্রাম-জঙ্গলপট্টি এলাকার ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়কের দু'পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮০টি গাছ ছিলো। মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পিকলু কাউকে না জানিয়ে তার লোকজন দিয়ে ওই গাছগুলো কেটে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া ২০১৬ সাল থেকে চেয়ারম্যান পিকলু কয়েক দফা একই প্রকল্পের কয়েকশ' গাছ কেটে প্রায় ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাদী আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলজিইডি অফিস বা স্থানীয় বনবিভাগ, থানা ও বরিশালের দুদক অফিসে অভিযোগ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পিকলু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, ১৯৯৯ সালে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে অর্ধেক গাছের মালিক আমি ও জমির মালিকরা। গাছগুলো সড়কের পাশে থাকা জমির মালিকরা কেটে নিয়ে গেছে। একটি প্রভাবশালী মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বৃক্ষ রোপনে জাতীয় পর্যায় থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত