ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

৪ বছরেও উদ্ধার হয়নি রিজার্ভ চুরির পুরো অর্থ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৫০

৪ বছরেও উদ্ধার হয়নি রিজার্ভ চুরির পুরো অর্থ

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের অর্থ চুরির চার বছর পার হলেও বেশির ভাগ অর্থ এখনও আদায় করা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলছেন, দেরি করে মামলা করলেও এখনও রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ আদায় সম্ভব।

অন্যদিকে এই মামলা থেকে অর্থ উদ্ধার হবে না- এমন মত গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালকের।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। পরে শ্রীলংকা থেকে ২ কোটি ও ফিলিপাইন থেকে দেড় কোটির কিছু বেশি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। বাকি অর্থ আদায়ে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে গত বছরের জানুয়ারিতে মামলা করে বাংলাদেশ।

অর্থনীতির গবেষক ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন মামলা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। এ থেকে অর্থ উদ্ধার হবে না। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, নিউইয়র্কে আমরা যেটা করেছি, সেটা হচ্ছে একটি কৌশলগত মামলা। এটা থেকে কিছু আসবে না। আপাত দৃষ্টিতে এবং সচারচার যেটা হয়ে থাকে তার আলোকে আমি বলবো যে, টাকা পাবার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।

এদিকে, মামলা থেকে অর্থ ফেরত আসবে বলে আশা করছেন ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আইনজীবিরাও বলছেন- মামলার বেশিরভাগ তথ্যপ্রমাণ বাংলাদেশের পক্ষে।

এ বিষয়ে ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ জানান, টাকা ফেরত না পাওয়ার আমি কোন কারণ দেখি না। এখন থেকে কিছু ভুয়া তথ্য গেছিল সেটাও ঠিক। সেটা ধরাও পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এই টাকাটা রিজাল ব্যাংক যদি দিয়ে দেয় তো ভালো, তবে তারা দেয়নি, দেবেও না। মামলা করে নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে দ্য লইয়ারস অ্যান্ড জুরিস্টসের হেড অব চেম্বার এ এম মাসুম বলছেন, এটাও প্রমাণিত ফরেন রিজার্ভ সিস্টেম থেকে তাদেরকে স্টপ পেমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে। এরপর তারা এই টাকাটা রিলিজ করেছে। এতে দেখা যায় যে, সকল প্রমাণাদি আমাদের পক্ষে।

তবে মামলায় যেতে অনেক দেরি করেছে বাংলাদেশ। সাবেক ডেপুটি গভর্নরের এমন অভিযোগের ব্যাখা দিলেন আইনজীবী। ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, যে কেস ৩ বছর আগে ফাইল করা যেত, সেটা বাংলাদেশ সরকারই ৩ বছর পর ফাইল করলো। তার মানে কি? সরকারের কেমন জানি একটা গাছাড়া ভাব। এটা নিয়ে আমার সন্দেহ।

এ এম মাসুম বলেন, ‘সমস্ত প্রমাণাদি সংগ্রহ করার পর এবং সেখানে কার কতটা দায়বন্ধতা সে বিষয়গুলো পরিস্কার হবার পর আমরা সিদ্ধান্তে উপনিত হই যে মামলা করবো।’ রায় পক্ষে এলে মামলা পরিচালনার খরচ ও জরিমানাসহ বাকি অর্থের সবটাই ফেরত পেতে পারে বাংলাদেশ।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত