ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পুলিশের হাতে আটকের পর হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৪৫

পুলিশের হাতে আটকের পর হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুলিশের হাতে আটকের পর মোজাফ্ফর হোসেন (২৫) নামক এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোজাফ্ফর উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর ছাট গোপালপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।

পুলিশের দাবি, গাঁজা পরিবহনের অভিযোগে আটক করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই অটোচালককে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তাকে দুই দফা চিকিৎসা দেয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত অটোচালক মোজাফ্ফরের শ্যালক সোহেল জানান, রোববার রাতে উপজেলার ধলডাঙা ঝালবাজার এলাকায় দুই যাত্রীসহ মোজাফ্ফরের অটোরিকশার গতি রোধ করে পুলিশ। এসময় পুলিশ দেখে অটোরিকশার দুই যাত্রী পালিয়ে যায়। দুই যাত্রীর রেখে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে গাঁজা পায় পুলিশ। তখন অটোচালক মোজাফ্ফরকে গাঁজাসহ আটক করে থানায় নেয়া হয়।

সোহেল আরও জানান, থানায় নেয়ার কিছুক্ষণ পর মোজাফ্ফর অসুস্থ্য হলে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে আবারও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রাত ১২টার পর মোজাফ্ফর আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্বিতীয় দফা ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পথিমধ্যে মারা যান মোজাফ্ফর।

সোহেল অভিযোগ করে বলেন, মূল আসামি বাদ দিয়ে পুলিশ অটোচালককে গ্রেপ্তার করে। যাত্রী গাড়িতে তুলে আমার বোন জামাই কি ভুল করছে? প্রথমবার হাসপাতালে ভর্তির পর আমার বোন জামাইকে চিকিৎসাধীন না রেখে থানায় নেয়াতেই তিনি মারা গেছেন। পুলিশের অবহেলাতেই মানুষটা মারা গেছে। তার ছোট একটি মেয়ে আছে। তার ভবিষ্যত কী হবে? আমার বোনটাই বা কী নিয়ে বেঁচে থাকবে তা বলতে পারছি না।

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, অটোচালক মোজাফ্ফর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। পুলিশ তাকে আটক করায় তিনি আতঙ্কে আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে দুই দফায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।

অটোরিকশার দুই যাত্রী পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, যাত্রী পালিয়ে গেলেও অটোচালককে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সে অসুস্থ্য হলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত