ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এবার ২১ ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৪৫  
আপডেট :
 ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৪৯

এবার ২১ ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণ

স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশায় কক্সবাজারে দ্বিতীয় দফায় ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় ইয়াবা কারবারিরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ১০টি অস্ত্র ও ২১ হাজার ইয়াবা। এরা সকলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী।

সোমবার বিকেলে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন।

যারা আত্মসমর্পণ করেছেন: টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালা সওদাগর (৪৯), মৃত আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল আমিন ওরফে আবুল (৩৯), সাবরাং ইউনিয়নের লেজির পাড়ার মৃত হাজী মকতুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৫৭), টেকনাফ পৌরসভার নামার বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল (৩১), সাবরাং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়ার মো. আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দাম (২৭), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার সুলতান আহম্মদের ছেলে বশির আহম্মদ (৪০), সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গফুর (২৬), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার হাজী ফজল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রিদুয়ান (২২), উত্তর লম্বরী পাড়ার জহির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ব ওরফে মধু তৈয়ব (৩৮), হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮), সিকদার পাড়ার নুর কবিরের ছেলে ইমাম হোসেন (৩০)।

এছাড়াও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়ার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে ফরিদ আলম (৪৮), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার হাজী ফজল আহম্মদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩০), ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে হাজী রাসেল (২৯), রুহুল আমিনের ছেলে ফজল করিম (২৬), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালিয়া পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোসাইন (২৮), টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল নুর (৩৯), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বিজিবি ক্যাম্প মাঠপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ (২৪), সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার হাজী আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে কালু (২৮), হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী কোনারপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩) এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়ার মৃত আবুল হোসেন সওদাগরের ছেলে ইমাম হোসেন (৪৩) প্রমুখ।

যেসব শর্তে আত্মসমর্পণ: ভবিষ্যতে মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধে জড়িত হবে না, সমাজে ফিরে গিয়ে স্ব-স্ব এলাকা মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে, যে সকল লোক মাদক ব্যবসায় এখনো সক্রিয় তাদের তথ্য কক্সবাজার জেলা পুলিশকে সরবরাহ করবে, আত্মসমর্পণের আগে তাদের বিরুদ্ধে যে সকল মামলা রজ্জু হয়েছে বা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এ সকল মামলাগুলো তারা নিজ দায়িত্বে আইনগতভাবে মোকাবেলা করবে।

এছাড়াও আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়িদের হেফাজতে যে সকল মাদকদ্রব্য বা অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তারা তা আত্মসমর্পণের সময় জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবে। আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে যে মামলা রজ্জু হবে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে আইনগত সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। মাদক ব্যবসার মাধ্যমে নিজে/পরিবারের/আত্মীয়-স্বজনের নামে ও বেনামে অর্জিত সকল স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি যাচাইয়ের জন্য দুদক/সিআইডি (মানি লন্ডারিং শাখা)/এনআরবিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল সংস্থার নিকট তাদের তথ্যাদি প্রেরণ করা হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তাদের অর্জিত সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: জাকির হোসেন খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলাশ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাহাদুর, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ কুমার দাশসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা কারবারি টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত