শিশু হত্যা মামলার আসামি ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু মোসলেমা খাতুন রিমা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি তরিকুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা দিকে সদর জেলার শাজাহানপুর ইউনিয়নের হরিষপুর নতুনপাড়া এলাকায় এ বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি 

এ ঘটনায় আহত হয়েছে জেলা গোয়েদা পুলিশের তিন সদস্যও। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরিকুল ওরফে সাদ্দাম সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মানিক হাজির টোলা গ্রামের নোমান আলীর ছেলে (৩৫)।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের বকচর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েদা পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) এস এম ফজলে খুদা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় বকচর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এ ঘটনায় তার সাথে বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার অপর সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হরিশপুর এলাকায় পৌঁছলে ওৎ পেতে থাকা তরিকুলের সহযোগীরা পুলিশের উপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গোলাগুলির এক পর্যায়ে তরিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাত সোয়া ৯ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক তরিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সদর উপজেলার চরবাডাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের ৭ বছরের মেয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী রিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একটি বাঁশ বাগানের পিছনে ফেলে রাখা হয় মরদেহ। এ ঘটনায় নিহত রিমার পিতা পরের দিন বুধবার রুহুল আমিন বাদি হয়ে তরিকুলসহ অজ্ঞাত আরে ৫ ব্যক্তিকে আসামি করে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পলাতক তুরিকুলের বাড়ি থেকে নিহত রিমার পরনের জামা-কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে