ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ভোলায় মায়ের ২ বছর পরে মেয়েকেও গণর্ধষণ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৪

ভোলায় মায়ের ২ বছর পরে মেয়েকেও গণর্ধষণ

ভোলার এক নারী অভিযোগ করে বলেছেন দুই বছর আগে যারা তাকে গণধর্ষণ করেছিলো, সেই মামলার আসামীরা তার মেয়েকেও গণধর্ষণ করেছে গেল সপ্তাহে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ঐ নারী বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে সহায়তা করেনি এবং মামলা না নিয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেছে । এসময় ভোলা সদর হাসপাতালে তার মেয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঐ নারী।

তিনি আরো বলেন, পুলিশকে বলি যে 'আমি তো মামলা করতে এসেছি, অভিযোগ দায়ের করতে নয়। পুলিশ আমাকে অভিযোগ দায়ের করতে উপদেশ দিয়ে বলে যে বাকি কাজ তারা করে নেবে।

অভিযোগ উঠেছে, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভোলার দৌলতখান থেকে ঐ কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। তার পরদিন ঐ কিশোরীর মা দৌলতখান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে 'ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ'করে, যেটির প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তারা ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা পায়নি।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাজলার রহমান বলেন, আমাদের কাছে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর মা। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমাদের মনে হয়েছে যে এটি সাজানো ঘটনা, তাই আমরা এখনো কোনো মামলা করিনি।

তবে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাইয়েবুর রহমান জানান, মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আদালতে পাঠানোর জন্য প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা - সেবিষয়ে বলতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঐ তরুণীর মা বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনিও গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এবং ঐ ঘটনায় তার মেয়েই বাদী হয়ে মামলা করেছিল। প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ঐ ঘটনার সময়ও পুলিশের পক্ষ থেকে সহায়তা পাওয়া যায়নি।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, দুবছর আগের ঘটনায় তাদের ( স্থানীয় পুলিশের) তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় মামলা গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে ঐ মামলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত