বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অমলিন স্মৃতি শীর্ষক সেমিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৫
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অমলিন স্মৃতি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট রোববার রাজধানীতে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, এমপি।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ (এমপি), সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (এমপি)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী (এমপি) বলেন, জাতির পিতাকে স্মরণ করতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ৫৪’র যুক্তফ্রন্টের দিকে, ৬৬’র ১১ দফার দিকে, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানের দিকে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিলো বাঙালি অর্থনৈতিক মুক্তি, বাঙালির শোষণ-বঞ্চণা থেকে মুক্তি। তিনি সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন নেতা। তার আপোষহীনতার কারণে তাকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আবার তিনি যখন কথা বলতেন ভেবে চিন্তে বলতেন, এক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। আবার তিনি যেটা বলেছেন সেটার ওপরই থেকেছেন। যুগে যুগে অনেক নেতা এসেছেন কিন্তু তার মতো এতো বিচক্ষণ নেতা বিশ্বে বিরল। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এরপর দলকে সংগঠিত করেছেন, পরে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়ার ৫১ বছরে এসেছি আমরা। এদেশে জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃতি করার ষড়যন্ত্র বারবার হয়েছে। ১৯৯১ সালে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতি করা হয়েছিল। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রকৃত ইতিহাস মানুষের মধ্যে আসতে থাকে। বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে না। তিনি এমন এক মহান ব্যক্তি ছিলেন, যিনি ইতিহাসের গতিধারা পরিবর্তন করেছেন। তিনি বাঙালির, সমাজের ও দেশের বন্ধু।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইকরাম আহমেদ (সাবেক চেয়ারম্যান পিএসসি), ড. ইনামুল হক (শিক্ষক ও নাট্যকার), মাসুম আজিজ (অভিনেতা), মান্নান হীরা (নাট্যকার), রকিবুল হাসান (সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার), শুভ্রদেব (সঙ্গীত শিল্পী), রিয়াজ (অভিনেতা) প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে/আইএন