ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ১১ জনের যাবজ্জীবন

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩২

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে এই মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বানিয়াপাড়া এলাকার নফছের আলী ছেলে জাগো (৩০)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সোনাইডাঙ্গা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (৩২), বৃত্তিপাড়া এলাকার মনোয়ার মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), গজনবীপুর এলাকার মৃত আলম ফকিরের ছেলে বাদশা ওরফে বাশি মন্ডল (৩৮), দেড়িপাড়া এলাকার তোয়াক্কেল জোয়াদ্দারের ছেলে আলিম ওরফে ঝড়ো (৩৮), বারুইপাড়া এলাকার আফাজ সর্দ্দারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫), উজানগ্রাম এলাকার মোনাউল্লাহ এর ছেলে বাবলু (৪০), বারুইপাড়া এলাকার মৃত তাইজাল হোসেনের ছেলে রহমত ওরফে সাইদুল (২৬), একই এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৫), আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে আসাদুল (২১) এবং বৃত্তিপাড়া এলাকার সামসুলের ছেলে ইউনুচ (৩৫)।

রায় ঘোষণাকালে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শহিদুল ইসলাম, আলিম ওরফে ঝড়ো, বাবলু,সাইদুল, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, ইউনুছ এবং মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জাগো পলাতক ছিলো।

আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বারুইপাড়া মিনি ক্যানেল পাড়ে জবাই করে হত্যা করা এবং দেহ থেকে মাথা সম্পূর্ণরুপে আলাদা করে নিকটবর্তী ব্রীজের রেলিং এর উপরে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরবর্তিতে মস্তকবিহীন এক মরদেহ উদ্ধার করার করে পুলিশ।

মামলায় দুই আসামীর স্বীকারোক্তী মুলক জবানবন্দীর মাধ্যমে জানা যায়, আসামীরা ফরিদুল ও অমূল্য ভিকটিম মাকিন মন্ডলকে অপহরণ করে বারুইপাড়া ব্রীজের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকিয়ে রেখে মুুক্তিপণ আদায় করার বিষয় নিয়ে অপহরণকারী ফরিদুলের সঙ্গে অন্যান্য আসামী বিশেষ করে পলাতক আসামী জগোর কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে জগোসহ অন্যান্য আসামীরা তাকে ধাওয়া দিলে ফরিদুল ধানক্ষেতের মধ্যে পড়ে যায়। তাকে জগোসহ কতিপয় আসামী উঠিয়ে উপোড় করে শুয়ে ফেলে কেউ কেউ পা, কেউ কেউ হাত ও মাথা ধরে রাখে, কেউ পিঠের উপর বসে, কেউ মাজার উপর দাঁড়িয়ে থাকে।

আসামী জগো শহিদুলের আনা কাচি দিয়ে ফরিদুলকে জবাই করে তার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে বারুইপাড়া ব্রীজের উপর রেখে আসে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় পরদিন ২৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন ইবি থানা পুলিশ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় দীর্ঘ বিচারকার্যে ১৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং দুই আসামীর জবানবন্ধীতে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দোহীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় আসামীদের মধ্যে একজনকে মৃত্যুণ্ড এবং ১১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামীদের ২০ হাজার টাকা করে অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত