ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

এবার বেরিয়ে এলো পাপিয়ার অপরাধ জগতের ‘রাজার’ নাম

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৪  
আপডেট :
 ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০৫

এবার বেরিয়ে এলো পাপিয়ার অপরাধ জগতের ‘রাজার’ নাম

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার অপরাধ জগতের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বের হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কিন্তু জনমতে প্রশ্ন, একা একা তো আর এসব করতে পারেননি পাপিয়া। কে আছে তার অপরাধ জগতের ‘রাজা’। কারাইবা মদত দিয়েছে তাকে। এনিয়েও চারপাশে চলছিলো আলোচনা-সমালোচনা।

ইতোমধ্যে একটি তালিকা করেছে র‌্যাব। এতে অনেকের নাম এসেছে। তদন্ত শেষে অনেকের নাম এই তালিকায় আসতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। এছাড়া যাদের সঙ্গে পাপিয়ার ঘনিষ্টতার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তাদেরও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাপিয়ার মদতদাতাদের মধ্যে একজনের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনো ডন সেলিম প্রধানের অন্যতম সহযোগী ছিল পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন। সেলিমের ডেরায় ক্যাসিনোর পাশপাশি নানা অনৈতিক কাজেরও সঙ্গেও ছিলো ‘দজ্জাল’ পাপিয়া। এসব কাজ করে সে কোটি কোটি টকার মালিক হয়েছে।

আরও পড়ুন: পাপিয়ার সঙ্গে থাকা সেই ৬ তরুণী দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

সেলিম প্রধানের ক্যাসিনো কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরেই পাপিয়ার অপরাধ জগতের খোঁজ পায় র‌্যাব। তদন্ত সূত্র আরও জানায়, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর গা ঢাকা দেয় পাপিয়া ও তার স্বামী। তবে সুযোগ বুঝে তারা আবার নিজেদের অপরাধকাণ্ড শুরু করে। নিরাপদ হিসেবে পাঁচ তারকা হোটেলে তারা সম্রাজ্য গড়ে তুলে। সেলিম প্রধানের সঙ্গে পাপিয়া দম্পত্তিরও থাইল্যান্ডে বার রয়েছে।

সেখানে তাদের অন্য বিনিয়োগ আছে বলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা।

আরও পড়ুন: অবশেষে পাপিয়ার ভিডিও ভাইরাল

র‌্যাব বলছে, জাল টাকা বহনের অভিযোগেই মূলত পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অনৈতিক ব্যবসা, ব্ল্যাকমে’ইলিং, সরকারি চাকরির তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ক্যাডার বহিনী লালন পালনেও পাপিয়া ও তার স্বামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলা দিয়ে আসামীদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ রিমান্ডে এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবের কাছে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

কারণ পাপিয়ার অপরাধ জগতের সঙ্গে আর কার কার সম্পৃক্ততা আছে সেটি খুঁজে বের করবে র‌্যাব। এছাড়া পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও পাপিয়ার অপরাধের খতিয়ান বের করার চেষ্টা করছেন। পাপিয়া দম্পতির আশ্রয় দাতারা এখন রীতিমত আতঙ্কে আছেন। কারণ পাপিয়া ইতোমধ্যে র‌্যাবের কাছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এছাড়া আদালত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রিমাণ্ডে নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন: সিনেমার চরিত্রকেও হার মানায় পাপিয়া

র‌্যাব-১ অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরেই পাপিয়াকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের কাছে যা যা তথ্য ছিলো সব প্রকাশ করেছি। এখন তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ রিমান্ডে এনে তদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে আমরা চাচ্ছি মামলাগুলো তদন্ত করতে। কারণ তাদেরকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। পাপিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে আরো কে কে আছে এসব বিষয় খোঁজে বের করবো।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত