ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাপিয়ার সঙ্গে থাকা সেই ৬ তরুণী দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৫০

পাপিয়ার সঙ্গে থাকা সেই ৬ তরুণী দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে গত কদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা চলছে, তাকে এবং তার স্বামীকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

তথ্য মতে, পাপিয়াকে আটকের পর একে একে অপরাধ জগতের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বের হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ক্ষমতার শীর্ষে না থেকেও দাপট দেখিয়েছেন। মনোরঞ্জণ করে মন যুগিয়েছেন ওপরওয়ালাদের।

র‌্যাব সূত্র জানা গেছে, পাপিয়ার প্রধান ব্যবসাই ছিল এসকর্ট সার্ভিস। চাকরি দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সে দেশের বিভিন্ন স্থানের নারীদের ঢাকায় নিয়ে আসতো। তাদের কখনও তার বাসায় আবার কখনও ৫ তারকা হোটেলে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন।

আরও পড়ুন: এবার বেরিয়ে এলো পাপিয়ার অপরাধ জগতের ‘রাজার’ নাম

চাকরির নাম করে আনা কম বয়সী তরুণীদের চাকরি সে ঠিকই দিত তবে সেটি এসকর্ট সার্ভিসে। চাহিদা বুঝে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা বেতন দিত সে। বিনিময়ে এদেরকে দিয়ে কামিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা। যেসব তরুনীরা অনৈতিক কাজ করতে অস্বীকৃতি জানাতো তাদের সে বেধড়ক মারধর করতো। ঢাকায় তার হেফাজতে নিয়ে আসার পরপরই তরুণীদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। ইচ্ছা না থাকলেও অনেক তরুণীকে বাধ্য করা হতো এসব কাজে।

আরও পড়ুন: অবশেষে পাপিয়ার ভিডিও ভাইরাল

সূত্র জানায়, পাপিয়ার টার্গেট থাকতো কম বয়সী শিক্ষার্থীদের। তাই সে বিভিন্ন কৌশলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণীদের সংগ্রহ করতো।

র‌্যাব পাপিয়াকে আটকের পর ৭ তরুণীর তথ্য পেয়েছে। এসব তরুণীরা গাজীপুর ও নরসিংদী এলাকার শিক্ষার্থী। পাপিয়া তার হেফাজতে থাকা তরুণীদের ভালো ছবি, বয়স, উচ্চতা, পেশা, শারীরিক গঠনের বর্ণনা দিয়ে প্রথমে অভিজাত ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিত। এসব ছবি দেখে ক্লায়েন্ট আগ্রহ না দেখালে পরবর্তীতে তরুণীদের নগ্ন ছবি তুলে পাঠাতো। ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে স্থান নির্ধারণ করতো পাপিয়া নিজেই। ক্লায়েন্ট পাপিয়ার আস্তানায় না আসতে চাইলে তাদের পছন্দমত স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হতো। ক্লায়েন্টের বাসায় বা হোটেলে তরুণীদের পৌঁছে দেবার কাজ করতো পাপিয়ার স্বামী সুমন ও তার সহকারী সাব্বির খন্দকার।

আরও পড়ুন: সিনেমার চরিত্রকেও হার মানায় পাপিয়া

এছাড়া সার্বক্ষণিক পাপিয়ার সঙ্গে থাকা ৬ তরুণী র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্যই জানিয়েছে। তারা র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ‘পাপিয়ার রংমহলে অনেক উচ্চ পর্যায়ের মানুষ আসতেন।’ পাপিয়ার আস্তানায় কেউ এসে তরুণীদের সঙ্গে মেলামেশা করলে কৌশলে গোপণে ভিডিও ধারণ করা হতো। ক্লায়েন্ট চলে যাবার পর এসব অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও ও ছবি দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হতো। ভিডিও/ছবি প্রকাশ করার ভয় মাসের পর মাস দেখিয়ে হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত