ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব দেয় না দুদক’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০৭  
আপডেট :
 ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩৭

‘রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব দেয় না দুদক’

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব দেয় না; বরং অভিযোগের ব্যাপকতাকেই গুরুত্ব দেয়। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করে। দুদক বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনাকে সর্বদাই সাধুবাদ জানায়।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইকবাল মাহমুদের সাথে পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক গতিশীল করার লক্ষ্যে নিয়ে আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সীমিত সামর্থ্য নিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের মননে সততা ও নৈতিকতা গ্রোথিত করার চেষ্টা করছে। তরুণদের উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা কিছুটা হলেও সহজ। উচ্চ নৈতিকতার মানদণ্ড ধারণ করতে চায় তরুণরা। তাই কমিশন এই তারুণ্যকে কাজে লাগাতেই দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, কমিশন বছরব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী এ জাতীয় সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হবে রচনা প্রতিযোগিতা। রচনা প্রতিযোগিতা শেষ হতে না হতেই শুরু হবে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। তরুণদের মননে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গ্রোথিত করতেই দুদক সাংবাৎসরিক ভিত্তিতে এ জাতীয় কার্যক্রম পরচিালনা করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, যে বা যারা এদেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে এই সম্পদ পুনরুদ্ধারে দুদক বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চায়। পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারই দুদকের সর্বোচ্চ আইনি অগ্রাধিকার বলেও মন্ত্যব করেন দুদক চেয়ারম্যন।

তিনি আরো বলেন, সম্পদপাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল বিষয়। বিভিন্ন দেশের স্ব স্ব আইনের কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায় না। এমএলএআর করা সত্ত্বেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ও ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) কতৃর্ক গৃহীত স্টোলেন এসেট রিকভারি ইনিসিয়েটিভ কর্মসূচিতে দুদক কাজ করতে চায়।

এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রিডিরেক্টর দুদকের এই অভিপ্রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে করণীয় সকল সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

দুদক চেয়ারম্যান ব্রিটেন এবং হংকংয়ে কিছু হিসাব জব্দের মাধ্যমে যে সব অর্থ জব্দ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানিয়ে বলেন , এ জাতীয় কর্ম সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুদকের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমি সত্যিই অভিভুত। আপনার তরুণদের হৃদয়ে নৈতকতার যে বীজ বপন করছেন একদিন জাতি হিসেবে এর সুফল পাবেন। তিনি সার্বিক বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অগ্রগতি জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের মানলিন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত