ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাচীর সাথে পরকীয়া, পুরুষাঙ্গ হারাল যুবক!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২০, ১১:১৫

চাচীর সাথে পরকীয়া, পুরুষাঙ্গ হারাল যুবক!

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে আপন চাচীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে চাচী খাদিজা বেগম তার ভাসুর পুত্র জোবায়ের হোসেনের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে।

জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলা ভৌমরী গ্রামের খাদিজা বেগম (২২) জোবায়েরকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে জোবায়ের তাৎক্ষণিক রাজি না হওয়ায় খাদিজার বাবা জোবায়েরের হাত চেপে ধরে এবং মা পায়ে চাপ দিয়ে ধরে। পরে খাদিজা যোবায়েরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।

যোবায়েরের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিত অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

আহতের চাচা জসিম উদ্দিন ও নিকটাত্মীয় রতন মিয়া জানান, যোবায়ের ও চাচী খাদিজার মাঝে দীর্ঘদিন পরকীয়াসহ অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে পরিবারে অনেক ঝামেলা ছিল কিন্তু খাদিজার এই অবৈধ সম্পর্কের কথা খাদিজার প্রবাসী স্বামী অর্থাৎ যোবায়েরের প্রবাসী চাচা জেনে গেলে পরিবারে অনেক অশান্তি নেমে আসে। ফলে যোবায়েরের প্রবাসী চাচা সিদ্ধান্ত নেয় খাদিজাকে তালাক দিবে। পরে পারিবারিকভাবে গত এক বছর পূর্বে সামাজিক লোকদের সাথে নিয়ে বসে দেনমোহরের তিন লক্ষ টাকা দিয়ে খাদিজাকে তালাক দেয় প্রবাসী স্বামী। খাদিজা বাপের বাড়ি চলে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যোবায়েরের কয়েকজন বন্ধু বলেন, খাদিজা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাপের বাড়ি চলে গেলেও খাদিজার সাথে গোপন সম্পর্ক থেকে যায় যোবায়েরের। নিজ পরিবারের অজান্তে যোবায়ের খাদিজার সাথে মুঠো ফোনে নিয়মিত কথা হতো। মাঝে মাঝে খাদিজার অনুরোধে যোবায়ের খাদিজার বাড়ি যেতো। এভাবে চলছিল প্রায় বছর খানেক তাদের অবৈধ সম্পর্ক। পরে গত শনিবার সন্ধ্যায় খাদিজা মুঠো ফোনে জোবায়েরকে তার বাড়িতে ডেকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। এ সময় জোবায়ের তাৎক্ষণিক বিয়ে করতে অস্বীকার জানায়। পরে পরিবারের সহযোগিতায় খাদিজা জোবায়েরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।

যোবায়েরের নিকটাত্মীয় রতন বলেন, তার পুরুষাঙ্গ অর্ধেকটা কেটে ফেলে দেয় খাদিজা। পরে চিকিৎসক অপরেশন করে পুরোটা ফেলে দেয়। যোবায়েরের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।

এ বিষয়ে যোবায়েরের মা মুঠোফোনে বলেন, আমার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। তার অবস্থা ভালো না। আল্লাহ জানে বাঁচবে নাকি মরে যাবে। আমি বাড়িতে এসে খাদিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অঙ্গহানির মামলা করব।

আহত যোবায়ের বরুড়া উপজেলার জলম গ্রামের মো. নজির আহমেদের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি অটো রিকসা চালক।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আহাদ আহত যোবায়েরের বরাত দিয়ে জানান, দীর্ঘ দিন যাবত ওই মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। ঘটনার দিন মেয়ের পরিবার ফোন করে নিয়ে বিয়ের চাপ দিলে যোবায়ের এখন বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায়। এতে মেয়ের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে তার পুরুসাঙ্গ জোর করে কেটে দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত