ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুয়াকাটা ও সিলেটে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

  পটুয়াখালী ও সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২০, ০৫:০৯  
আপডেট :
 ১৯ মার্চ ২০২০, ০৫:১৭

কুয়াকাটা ও সিলেটে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটদের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগত পর্যটকদের স্ব স্ব বাড়ি ফিরে যাওয়াার জন্য বুধবার সন্ধ্যার দিকে মাইকিং করা হয়েছে। একইসঙ্গে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হয়। এদিকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যানদের করোনাভাইরাস সতর্কতামূলক মাকিং করার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

কুয়াকাটা সী ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস‘র পরিচালক জনি আলমগীর বলেন, বিকাল ৫ টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের নির্দেশে আমাদের অফিস বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের মাইক দিয়ে তারা ঘোষণা দিয়ে সরিয়ে নিয়েছেন পর্যটকদের।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পর্যটকদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাড়ী ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকায় এই উদ্যোগ নিয়েছে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া হোটেলগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলে কক্ষ বুকিং না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে হোটেল মালিকদের।

এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সতর্ক অবস্থা জারি করেছে। তার অংশ হিসেবে সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুয়াকাটায় সমগ্র দেশের মানুষের সমাগম হয়, সে কারনে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য করছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

একই কারণে সিলেটের প্রাকৃতিক কন্যা জাফলংয়, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, সাদাপাথর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

বুধবার বিকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ওসি রতন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আমরা এ বিষয়ে অবহিত করছি। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ‍মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সবাইকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি। পাশাপাশি সবাই যাতে নিজ থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে চলেন সেজন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় শিশুদের বাসায় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, সিলেট একদিকে পর্যটন অন্যদিকে প্রবাসী অধ্যূষিত এলাকা। সেজন্য সিলেটে করোনাভাইরাসের আশঙ্কা একটু বেশি। সেজন্য সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলারও আহবান জানান তিনি। এছাড়া আগামী দু'একদিনে মধ্যে গণপরিবহন চলাচলে নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আতংক বেড়েছে বাংলাদেশেও। এরইমধ্যে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন এবং একজন মারা গেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত