হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানালো ভিক্টোরিয়া কলেজ, বিনামূল্যে বিতরণ
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২০, ১৮:৪২
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী ১ হাজার ২৫৫টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহরের অর্থায়নে রসায়নের সহকারি অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে ২০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল নিজস্ব গবেষণাগারে এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে।
শনিবার সকাল ১১টায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী শিক্ষার্থী ও কলেজের কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধন শেষে পথচারী, সংবাদকর্মী, দোকানি, চালক, পথচারী, দিনমজুর, কলেজ কর্মচারীসহ শাসনগাছা বাস শ্রমিক ও জেলা সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধকের বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে। দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় করতে পারছে না। বিশ্বব্যাপী এই সংকট মুহূর্তে সমাজের বিত্তবান মানুষদের আর্থিক সহায়তা পেলে কলেজের নিজস্ব গবেষণাগারে উন্নতমানের স্যানিটাইজার তৈরি করা যাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, প্রবাসীরা আমাদেরই ভাই-বোন, তবে বৃহত্তর স্বার্থে অবশ্যই তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রতিরোধে সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভিক্টোরিয়া কলেজ রসায়ন বিভাগ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে করোনা প্রতিরোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ভিক্টোরিয়া কলেজের রসায়নের শিক্ষার্থীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, যা বাস্তব জীবনে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
স্যানিটাইজার প্রস্ততি দলের নেতৃত্বে থাকা রসায়ন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসাওে আমাদের তৈরীকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার এন্টিসেপটিক লোশনটি কোভিড-১৯ এর জীবানু প্রতিরোধ ছাড়াও যে কোন ধরণের জীবানু প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ১২৫০ বোতল তৈরী করেছি। এতে বাজারে প্রচলিত স্যানিটাইজারের চেয়ে উন্নত মানের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬৫ ভাগ আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল, ০.৫ ভাগ অলিভ অয়েল, ২ ভাগ গ্লিসারিন, ০.৫ ভাগ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ৩২ ভাগ পাতিত পানি ও পারফিউম। কর্তৃপক্ষের সহায়তা পেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্যানিটাইজার তৈরি কার্যক্রম অব্যহত রাখা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
