ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনার মধ্যেও পিছু ছাড়ছে না এনজিওকর্মীরা!

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২০, ২২:১০

করোনার মধ্যেও পিছু ছাড়ছে না এনজিওকর্মীরা!
প্রতীকী ছবি

মরণঘাতী করোনার থাবায় স্থবির সারা বিশ্ব। পাল্টে গেছে দেশের সমগ্রহ প্রেক্ষাপট। এতে নিম্নমুখী মৌলভীবাজারের ব্যবসার অবস্থান। কিন্তু বদলায়নি জেলার এনজিওকর্মীদের দৌঁড়-ঝাপ।

ক্ষুদ্র ঋণগ্রহণকারীদের ব্যবসা বা বাড়িতে এনজিওকর্মীরা হানা দিচ্ছেন হুমড়ি খেয়ে। ওইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে তারা। এমতাবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্টানের মলিকরা কিংবা গরীব মানুষগুলো অসহায়ত্ব প্রকাশ করেও ছাড় পাচ্ছেন না।

রোববার রাত ৮টা থেকে ফার্মেসি আর খাবার হোটেল বাদে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসন।

কুলাউড়া উপজেলার স্টেশন চৌমুহনীর পানের দোকানদার মো. শরীফ, ফলের দোকানদার চান্দু মিয়া, কাপড়ের দোকানদার রবিউল হোসেন, পানের দোকানদার সুফিয়ান মিয়া, সিরামিক ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, ইসমাইল, মোবাইলের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অনিক, রাজু, দৌলতসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের এখন কাজ নেই। সরকার মানুষকে ঘরে থাকতে বলছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা না থাকায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে না। আমরা টাকা দিবো কোথা থেকে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করছে।

সরকারের কাছে আপাতত কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

তবে এসব কোন অযুহাত মানতে রাজি হচ্ছেন না এনজিওর মাঠকর্মীরা। এর মধ্যে ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ শক্তি, হীড বাংলাদেশ এনজিওগুলো অন্যতম। একই চিত্র জেলার অনান্য উপজেলায়ও।

নাম প্রকাশে একজন মাঠকর্মী জানান, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেবো। তবে এ বিষয়ে আপাতত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত