ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঝিনাইদহে দিনে দুপুরে ঘরবাড়ি ভাঙচুর

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৯:২১  
আপডেট :
 ২৪ মার্চ ২০২০, ১৯:২৮

ঝিনাইদহে দিনে দুপুরে ঘরবাড়ি ভাঙচুর

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামে সাইদুল ইসলাম নামে এক দিনমজুরের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র খাট পালং চেয়ার টেবিল এমনকি রান্না করা ভাত পর্যন্ত তান্ডবের হাত থেকে রেহাই পায়নি। খবর পেয়ে মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জুয়েল ও বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার ঘটনাস্থলে আসেন। তারা এই ন্যাক্কারজনক ভাংচুরের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

চোরকোল গ্রামের মৃত জাহাবক্স মন্ডলের ছেলে সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, দুপুরে তিনি মাঠে ছিলেন। বাড়িতে তার স্ত্রী রুপা খাতুন ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় চোরকোল গ্রামের জিন্নার ইন্ধনে সন্ত্রাসী কিরাম, শুকুর আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, শিলু, বজলুর রহমান, হাবিল ও সারু ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রকাশ্যে তারা টিনের ঘর ভাঙচুর করে স্থান ত্যাগ করে। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে এদিক- সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।

ঘর ভাঙ্গার কারন সম্পর্কে মরিয়ম নামে এক প্রতিবেশি জানায়, এই জমিটি তারা জিন্নার কাছে বিক্রি করেছেন। জমির দখল নিতেই জিন্না দলবল নিয়ে ভাঙচুর করে।

বিষয়টি নিয়ে মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জুয়েল জানান, বিরোধপুর্ণ জমি নিয়ে তার পরিষদে সমঝোতা বৈঠক হয়েছিল। গত ২০ মার্চ ১৫ শতক জমি নিয়ে সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে চুড়ান্ত ফয়সালা দেয়া সম্ভব হয়নি।

চেয়ারম্যান জানান, যেভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে সেটা বেআইনি। তিনি ভাঙচুরকৃত এই ঘর অবিলম্বে মেরামত করার জন্য জিন্নার কাছে ৫ দিনের সময় দিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের (আইসি) এস আই গোলাম সরোয়ার জানান, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে বেআইনি কাজ করা হয়েছে। অভিযোগ দিলে দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত জিন্না বলেন, তিনি এই জমি কেনার পরে সাইদুল ইসলাম আদালতে মামলা করেছেন। তিনি এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত