ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশ লকডাউন হলেও মসজিদ বন্ধ করা যাবে না: শফী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২০, ১১:৩০

দেশ লকডাউন হলেও মসজিদ বন্ধ করা যাবে না: শফী

করোনা ভাইরাসে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের ইমাম-খতিবদের উদ্দেশ্যে ৬ টি পরামর্শ প্রদান করেছেন দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও আমীরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই পরামর্শ দেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম একটি মুসলিম প্রধান দেশ। দেশে ৩ লাখের অধিক মসজিদ রয়েছে। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নেন। মসজিদে গিয়ে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি লাভ করেন। আল্লাহ তায়ালার দরবারে কান্নাকাটি করেন। মসজিদের সঙ্গে রয়েছে তাদের আত্মিক সম্পর্ক। কারণ মসজিদ হলো সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।

আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান মসজিদ। তাই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলমান পরিস্থিতিতে দেশের সকল মসজিদের ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও মুতাওয়াল্লিদের সমীপে ছয়টি পরামর্শ প্রদান করা হলো। আশা করছি, পরামর্শগুলো যথাযথ আমলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

১. আমাদের দেশের জনগণ করোনাভাইরাস ইস্যুতে এখনো পরিপূর্ণ সচেতন নন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতেও ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ তোয়াক্কা করছেন না। অথচ এ পরিস্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আল্লাহমুখী হওয়া। কারণ তওবা ইসতেগফার ও কান্নাকাটির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার আজাব ও গজব থেকে আমরা বাঁচতে পারব। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বিশেষ মোনাজাত করুন। তওবা ইসতেগফার করুন। সুন্নাহসম্মত দোয়ার আমল করুন।

২. বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা হলে ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ মিলে হলেও নামাজের জামাত কায়েম করতে হবে। মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। তবে সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করার প্রতি মুসল্লিদের তাগিদ দিন। আর সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব আমল চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে দিনমজুর ও সমাজের নিম্নবিত্তের মানুষ। তাই ইমাম খতিব, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলগণ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। সমাজের বিত্তশালীদের সঙ্গে পরামর্শ করে অসহায় মানুষদের হাতে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিন।

৪. মসজিদে মসজিদে অজুর আগে হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করুন। ফরজ নামাজ ও জুমার বয়ানে সংক্ষিপ্ত আকারে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা করুন। গুজব, কানকথা, ভিত্তিহীন ও তথ্যহীন আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। বিদেশফেরত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মসজিদে না এসে তাদের ঘরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিন।

৫. প্রত্যেক মহল্লার ইমাম ও সচেতন উলামায়ে কেরাম প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে দোয়া ইউনুস, কোরআন খতম ও রোগমুক্তির জন্য বিশেষ দোয়ার আমল করুন। ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমিন।’

এই আয়াত সবাইকে বেশি বেশি পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এবং ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআস মিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ উক্ত দোয়াটি নিয়মিত পড়তে বলুন।

৬. কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার কাফন দাফনের ব্যবস্থা ও জানাজা পড়ানোর ব্যাপারে গাফলতি করবেন না। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে নিয়মমাফিক সব কিছুর আঞ্জাম দেয়ার চেষ্টা করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত