ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সড়কে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর টহল, নজরদারিতে ৭৩৮ প্রবাসী

  নবাবগঞ্জ-দোহার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২০, ১৭:২৩

সড়কে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর টহল, নজরদারিতে ৭৩৮ প্রবাসী

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে গ্রামের সড়কসহ উপজেলা সদরে এখন আর কোন জনস্রোত নেই। সড়কগুলো কোলাহল মুক্ত ফাঁকা। টহল দিচ্ছে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী।

নবাবগঞ্জে প্রবাস ফেরত ৫৩৮ ও দোহারে ২০০জনকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ এখন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখাগেছে। এছাড়া গুটিকয়েক দোকানি ও স্বল্প আয়ের হাতেগোনা কিছু মানুষ ছাড়া কেউ বাইরে আসছেন না। হাট বাজারগুলোতে কমে গেছে বেচাকেনা। অধিকাংশ সড়কে নেই যানবাহন।

সকাল থেকে মাঠে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। উপজেলার সড়ক, অলি-গলিতে টহল দেওয়া ছাড়াও সিভিল প্রশাসনের কাজে সহায়তা করছেন তারা। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচনাসহ প্রশাসনকে সহায়তা করছেন সেনাবাহিনী। দেখাগেছে সেনা সদস্যরা মাইকিং করে জনসচেতনা বৃদ্ধিতেও কাজ করছেন।

নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. শহীদুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ৫৩৮ জন প্রবাসীকে চিহ্নিত করে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। এরমধ্যে ২২০ জন ১৪ দিন মেয়াদ পার করেছে। বাকি আরো ৩১৮ জন প্রবাসী এখনো হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছে। তবে এদের কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো পজিটিভ পাওয়া যায়নি। প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাটের মালিকগণকে। শুধু খোলা রাখা হচ্ছে কয়েকটি ওষুধ এবং মুদির দোকান। বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ থেকে আজানের আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে জনগণকে সচেতনতার বার্তা দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানও।

জানা গেছে, কোনো জায়গায় অধিক লোক যাতে জড়ো হতে না পারে এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে- সেটা নিশ্চিত করছে সেনাবাহিনী।

এদিকে গনপরিবহন না চলায় নবাবগঞ্জ দোহারে চলছে বিরাজ করছে নীরবতা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ কাজ করেছে রাত দিন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, জনগণ যাতে ঘরে থাকে এবং ১ এর অধিক লোক সমাগম না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, আপনারা জানেন, সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে না আসে সেই জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত