ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাসপাতালে রোগী নেই, আছে করোনা আতঙ্ক

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৫:৩০

হাসপাতালে রোগী নেই, আছে করোনা আতঙ্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত বা সন্দেহ হলো তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। কিন্তু করোনা আক্রান্ত আতঙ্কে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না অনেকে। যারা অনেকটা বাধ্য হয়ে ভর্তি হয়েছেন তারা একটু সুস্থ হতে না হতেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

শনিবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ৩ জন রোগী। অথচ ১৫/২০ দিন আগে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিলো। এসময় ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে মাত্র ১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

জেলার সদর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা বলেন, রোগীর চাপ না থাকলেও আমাদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারোনাভাইরাসে দুইজন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর এ আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে। এ জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি না হলেও আমরা প্রস্তত রয়েছি। এ দিকে জেলার ৫ টি উপজেলা ও ২ টি পৌরসভায় করোনা চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৭৪৫ জন কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ৮০ জন ও নার্স ১৬০ জন। এছাড়াও তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য রয়েছেন ১৩৪ জন বিভিন্ন পদের স্টাফ, মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারি/পরিদর্শক ১৯৫ জন ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার ১৭৬ জন।

এসব কর্মীদের কয়েকটি স্তরে বিভাজন করে টিমওয়ার্ক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দহগ্রাম ১০ শয্যা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল।

হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের অতিরিক্ত রোগীর ভিড় সামলাতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে অস্থায়ী করোনা ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। লালমনিরহাট শহরের জন্য রেলওয়ে হাসপাতালের ১৬টি বেড এবং সদর হাসপাতালের ৭টি এবং বাকি ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ৪/৫টি করে আইসোলেশন বেড বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত রোগী বিপদজনক পর্যায়ে গেলে তার সেবা প্রদান করতে আইসিইউ বেড প্রয়োজন হবে, যা এ জেলায় একটিও নেই। এমন পর্যায়ে গেলে সেসব রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, এ জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত