ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাসপাতালগুলো ফাঁকা, আসছে না অন্য রোগীরা

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৮:৩৪

হাসপাতালগুলো ফাঁকা, আসছে না অন্য রোগীরা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনায় কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হলে বা সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তিকে আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবুও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হতে আসছেন- এমন আতঙ্কেই অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না কেউ।

এদিকে যারা অনেকটা বাধ্য হয়ে ভর্তি হয়েছেন, তারা একটু সুস্থ হলেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ৩ জন রোগী। অথচ ১৫/২০ দিন আগে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মুহূর্তে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিলো। ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে মাত্র ১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সরা বলেন, রোগীর চাপ না থাকলেও আমাদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারোনাভাইরাসে দেশে দুইজন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর এ আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে। এ জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি না হলেও আমরা প্রস্তত রয়েছি।

এ দিকে জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার মানুষদের করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৭৪৫ জন কর্মী। যার মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৮০ জন ও নার্স ১৬০ জন।

এ ছাড়াও তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য রয়েছেন ১৩৪ জন বিভিন্ন পদের স্টাফ, মাঠ পর্যয়ে স্বাস্থ্য সহকারী/পরিদর্শক ১৯৫ জন ও কমিউনিটি হেল্থ প্রোভাইডার ১৭৬ জন।

এসব কর্মীকে কয়েকটি স্তরে বিভাজন করে টিম ওয়ার্ক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দহগ্রাম ১০ শয্যা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল।

হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের অতিরিক্ত রোগীর ভিড় সামলাতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে অস্থায়ী করোনা ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। লালমনিরহাট শহরের জন্য রেলওয়ে হাসপাতালের ১৬টি বেড এবং সদর হাসপাতালের ৭টি এবং বাকি ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ৪/৫টি করে আইসোলেশন বেড বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত রোগী বিপদজনক পর্যায়ে গেলে তার সেবা প্রদান করতে আইসিইউ বেড প্রয়োজন হবে, যা এ জেলায় একটিও নেই। এমন পর্যয়ে গেলে সেই সব রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, এ জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত