বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন এমপি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব। একই অতঙ্ক আছে বাংলাদেশেও। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। যাতে সবাই নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করে। আর এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেক পরিবার।

সারাদেশের ন্যায় এ চিত্র দিনাজপুরে বীরগঞ্জে। এ অবস্থায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, আলু) বিতরণ করেছেন দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।

তীব্র দাবদাহ: চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা

রোববার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, ৩ কেজি আলুসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। বর্তমান সময়ে গরীব, মহেনতি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মোক্ষম সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে একজন মানুষও না খেয়ে মরবে না। আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য আমি সর্বদাই চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেন, সবাই জানেন করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনাভাইরাস থেকে সংক্রামক রোগের নামই হচ্ছে কোভিড-১৯। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে এই রোগটি ছড়ানোর আগ পর্যন্ত সবার কাছেই অজানা ছিল।

'আর এই রোগটি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও চলাফেরাতে পরিবর্তন আনতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া কারোরই উচিত হবে না। মনে রাখতে হবে আমরা যে কেউ যে কোনো সময় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারি। কারণ আমরা সবাই এখন এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছি। তাই প্রয়োজন সচেতনতা ও সতর্কতা।'

এমপি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসক ও সর্বস্তরের মানুষকেই এই বিষয়ে সচেতন করছেন। শুধু নিজে সতর্ক থাকলেই চলবে না, সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।

গুজব থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়ানোটা বিভ্রান্তিকর ও অপরাধও। তাই গুজবে কান দেন দেবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন হতে বলুন।

১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ৩ কেজি আলু পেয়ে বীরগঞ্জ পৌরসভার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই চরম সংকটময় অবস্থায় এমপি সাহেব আমাদের বাড়িতে এসে চাল, ডাল ও আলু দিয়ে গেছেন। বর্তমানে সরকারি আদেশ মেনে বাড়িতেই অবস্থান করছি আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা। রিকশা চালিয়ে আমি সংসার পরিচালনা করি। এখন রিকশাও চালাতে পারছি না। এই সময় এমপি সাহেব যেগুলো দিয়েছেন, তা দিয়ে পুরো পরিবার কয়েকদিন চলতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বীরগঞ্জের সহকারি কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম, বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম ফিরোজ আলম।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে