করোনায় ঘরে পণ্য পৌঁছে দিতে ‘হোম সার্ভিস’
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২০, ১২:৫৩ আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২০, ১২:৫৬
করোনাভাইরাসের কারণে হাটবাজার বন্ধ থাকায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে নাটোরের সিংড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ চালু করেছে ‘হোম সার্ভিস’।
এ সার্ভিসের আওতায় মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা ফোনে জানালে পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকেরা তা ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।
সিংড়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শহরবাসীকে ঘরে থাকার জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এ জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে। এরপরও লোকজন জরুরি পণ্য সংগ্রহের কথা বলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এতে অনেক সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংসদ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের পরামর্শ চেয়েছিল। তাঁর পরামর্শে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে শহরবাসীর জন্য এই ‘হোম সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তটি মাইকিং করে শহরবাসীকে জানানো হচ্ছে। এই সেবা পাওয়ার জন্য একটি হটলাইন নম্বর (০১৭০৭০০১১২২) দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নালে আরো পড়তে পারেন:
> লকডাউন: বাড়ি ফিরতে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ২ দিন হাঁটলেন যুবক
> করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
> করোনাভাইরাস: নাগরিকরা প্রত্যেকে পাবেন ১২ শ ডলার
> ঢাকা মেডিকেলে ৩ ঘণ্টায় মিলবে করোনা টেস্টের ফল
> বিদেশী নাগরিকদের সহযোগিতার আশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
> প্রাথমিক শিক্ষকদের টিফিন ফি যাবে ‘করোনা ফান্ডে’
> যে ৭ রোগ থাকলে করোনা হলে আপনার ঝুঁকি বেশি
> করোনার সচেতনতায় এমনটা কেউ করেননি আগে
> চট্টগ্রামে ছাপা পত্রিকার বিক্রি কমেছে ৯০ শতাংশ
> দেশ লকডাউন হলেও মসজিদ বন্ধ করা যাবে না
> পিপিই ছাড়া চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা স্থগিত
> করোনাভাইরাসকে ‘অবহেলা’ করছেন ট্রাম্প
> করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা
> খুব দ্রুত করোনার ‘ওষুধ’ আনছে জাপান
> লকডাউনে ঘরে সুস্থ থাকার উপায়
সেবাপ্রত্যাশী যে কেউ এই নম্বরে ফোন করে তার প্রয়োজনীয় পণ্যের কথা জানাতে পারছেন। এরপর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবীরা নির্ধারিত মূল্যে সেই পণ্য কিনছেন। পরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িতে করে পণ্য সেবাপ্রত্যাশীর বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
সেবাগ্রহীতা রসিদ দেখে মূল্য পরিশোধ করে পণ্য সংগ্রহ করছেন। এ কারণে তাকে আর ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে না।
পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কিছুদিন আগে শহরবাসীর জন্য ‘চলো’ নামে কিছু বিশেষ পরিবহন (ব্যাটারিচালিত রিকশা) চালু করা হয়েছিল। ওই পরিবহনসেবাকে সংকটের এই সময়ে ‘হোম সার্ভিস’ বাস্তবায়নের কাজে লাগানো হচ্ছে। পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারেও বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
আরো পড়ুন:
> বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখবেন যেভাবে
> ঘরে বসেই করোনার ঝুঁকি পরীক্ষা
> করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে
> করোনায় সুন্দরবনের কপালে কী আছে!
> করোনা ঠেকাতে তালপাতার মাস্ক ব্যবহার
> করোনায় প্রাথমিকে ‘বার্তা’ দিবে মন্ত্রণালয়
> কোনো ধরনের জনসমাগম নয়: প্রধানমন্ত্রী
> করোনায় চিকিৎসক যুগলের অন্যন্য দৃষ্টান্ত
> করোনা একটি যুদ্ধ, আমাদের জিততে হবে
> করোনাভাইরাস: সাত উপায়ে থামবে ভুল তথ্য
> মাছ বিক্রেতা নারীই বিশ্বের প্রথম করোনা রোগী!
> পুলিশের লাঠিপেটা হয়রানি, বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ