ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চিড়িয়াখানার ৪ টি হরিণ খেল ক্ষুধার্ত কুকুরের দল

  রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২৩:২৬

চিড়িয়াখানার ৪ টি হরিণ খেল ক্ষুধার্ত কুকুরের দল

রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ঢুকে ৪ টি হরিণ খেয়ে ফেলেছে ক্ষুধার্ত কুকুরের দল। শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে সকালেই হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম প্রথমে ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। পরে হরিণের সেডের দায়িত্বে থাকা মধু নামে একজন ঘটনা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তার কোনো দোষ নেই। পরে অবশ্য তিনিও ঘটনা স্বীকার করেন।

তিনি জানান, চিড়িয়াখানায় গত তিন মাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। তবে কুকুরের দল ঢোকার সময় সেডে মোট হরিণ ছিল ৭৫টি। কুকুরে খাওয়ার পর এখন হরিণের সংখ্যা ৭১টি। কুকুরের পেটে যাওয়া চার হরিণের তিনটিই বাচ্চা। একটি তাদের মা। হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ সেডের ভেতরেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার কারণেই সেডের ভেতর এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় চিড়িয়াখানার একটি সূত্র।

বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেন চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানার পুকুরে কাজ চলেছে। লোকজনও ছিল। তখন পর্যন্ত কুকুর ঢোকেনি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শহরের হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় কুকুরের খাবার সংকট। তাই পাঁচটি নেড়ি কুকুর চিড়িয়াখানায় ঢুকে পড়েছিল। বেড়া থাকলেও কুকুরগুলো হরিণের সেডে ঢুকতে পেরেছিল।

তিনি জানান, এ ঘটনায় চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ককে লিখিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেবেন। এরপর এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত