ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ধামরাইয়ে

ইউএনও কে সহায়তা করতে কর্মস্থলে নেই কোন কর্মকর্তা

  ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ২১:৪৬

ইউএনও কে সহায়তা করতে কর্মস্থলে নেই কোন কর্মকর্তা

ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বর্তমানে একটু সহায়তা করবে এমন কোন দপ্তরের কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে খুজে পাওয়া যায়নি।

সহকারি কমিশনার(ভূমি), থানা পুলিশের সকল সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকমর্তা কর্মচারী ছাড়া কেউ’ই নেই কর্মস্থলে। কর্মকর্তারা কর্মস্থলে না থাকায় দিনমজুর ও অসহায় দরিদ্রদের তালিকা প্রস্তুত করে ত্রাণ বিতরণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

নানা অজুহাতে উপজেলা সমাজ সেবা, প্রকল্প বাস্তবায়ন, কৃষি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, সমবায়, এলজিইডি প্রকৌশলী, শিক্ষা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারাও রয়েছে ধামরাই উপজেলার বাইরে বিশেষ করে ঢাকায়।

এরমধ্যে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যেহেতু গণপরিবহন চলে না কিভাবে কর্মস্থলে আসবো। গাড়ী চললে আসবো।

এছাড়াও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন হার্টের রোগী।আমি তার দেখামুনা করছি। এছাড়াও পরিবার দেখাশুনা করতে হচ্ছে। তবে পরিবেশ স্বাভাবিক হলে চলে আসবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামিউল জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন সংস্থাপন অধিশাখার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও এর প্রার্দুভাবজনিত যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের লক্ষে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিভাগ/জেলা/ উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, চিঠি অনুযায়ী কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এই সময়ে শুধুমাত্র সহকারি কমিশনার (ভূমি), থানা পুলিশের কর্মকর্তাসহ সকল সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকমর্তা কর্মচারীরা রয়েছে কর্মস্থলে। অথচ উপজেলা পরিষদের চত্বরে স্থাপিত ডরমেটরি, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও কেই কর্মস্থলে থাকছেন না। কিন্তু ব্যতিক্রমী চিত্র চোখে পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল হকের ক্ষেত্রে। তিনি সরকারি ত্রাণ অসহায়, দুস্থ মানুষদের মাঝে বিলি করা জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন ডানাসহ ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে চাল, ডাল প্যাকেট করছেন। রাতেও তিনি নিজ উদ্যোগে অসহায়দের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করছেন।

তিনি আরো বলেন, যদি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা দেশের ক্লান্তিলগ্নে কোন প্রকার সহযোগীতা করতো তাহলে খুব উপকার হতো।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত