ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনা ঠেকাতে বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা

করোনা ঠেকাতে বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা
ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারি। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবন থেকে একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এতে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধিসহ চার ধরনের কার্যক্রম রয়েছে।

তাৎক্ষণিক, স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়দী ও দীর্ঘমেয়াদী- এই চারভাগে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারটি কার্যক্রম নিয়ে সরকারের এই কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।

এই চারটি কার্যক্রম হবে- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা, আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা এবং বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানো।

সামাজিক সুরক্ষার আওতা বৃদ্ধি

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সব ধরনের অফিস আদালতের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এসময় হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র কর্মজীবী মানুষ যেন টিকে থাকতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে।

এর আওতায় সরকার নিম্নে বর্ণিত পাঁচ ধরনের তৎপরতা চালাবে

ক. বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

২. ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়

৩. লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

৪. সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের জন্য ভাতা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে শতভাগে উন্নীত করা

৫. জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা

সরকারি ব্যয় বাড়ানো

সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকে’প্রাধান্য দেওয়া হবে। এসময় বিদেশ ভ্রমণ এবং বিলাসী ব্যয়কে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা করছেন, বাংলাদেশে ঋণের স্থিতি ও জিডিপির অনুপাত কম (৩৪%) হওয়ায় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর চাপ ফেলবে না।

আর্থিক সহায়তা: সরকার ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশেষ কিছু খাতের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করবে। এর যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখা।

এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও বাণিজ্য খাতের জন্য মোট ৫টি প্যাকেজের আওতায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এটি জিডিপির ২.৫২ শতাংশ।

মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানো

অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব থেকে উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানোকে ‘অত্যন্ত জরুরি’বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত