ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

টেস্ট বাড়ানোর জোর তাগিদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১৭

টেস্ট বাড়ানোর জোর তাগিদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত করতে পরীক্ষা বাড়াতে জোর তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসন ভবনে মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসকদের করোনা মোকাবিলায় ২৯৭টি জিপগাড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের একটিমাত্র ল্যাব ছিল। এখন ১৭-১৮টি ল্যাব আছে। আগামী দিনে আরও ১০ টি ল্যাব চালু হয়ে যাবে। উপজেলায় যারা দায়িত্বে আছেন তারা চেষ্টা করবেন টেস্ট (পরীক্ষা) যেন ভালো হয়। প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেকদিন যেন অন্তত ১০-২০ জনের পরীক্ষা হয়।

যত বেশি করোনা টেস্ট করা হবে তত বেশি শনাক্ত করে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, যেসব বাড়িতে বিদেশ থেকে লোক আসছে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে বেশি করে পরীক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করবেন। যত বেশি পরীক্ষা করাবেন আমরা তত শনাক্ত করতে পারব। করোনাভাইরাসের প্রধান কাজ হলো যাতে সংক্রমণ না হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছিল তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম এবং এখনও আছেন অনেকে। আপনারা চেষ্টা করেছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইন যেন সফল হয়। আপনাদের চেষ্টার কারণেই পৃথিবীর মধ্যে এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের এত ঘনবসতি এবং ১২ লাখ লোক বিদেশ থেকে এসেছে তারপরও আমরা ভালো আছি এবং এই ভালো থাকার পেছনে হাজার লোক কাজ করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। এর মধ্যে সবথেকে বেশি কার্যকর করা হচ্ছে লকডাউন। আপনারা জানেন সিঙ্গাপুরে নতুন করে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। কাজেই লকডাউন আরও বেশি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে। মসজিদে কীভাবে জামাত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মক্কা মদিনায় দেখেন আজকে মসজিদে নামাজ পড়ে না, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা কারফিউ দিয়েছে। আশেপাশের দেশগুলোতে অনেক আগেই মসজিদে নামাজ পড়া সীমিত করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে।

‘আমরা আরও খুশি হয়েছি প্রধানমন্ত্রী বাজারে যাওয়ার সময়টা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কখন বাজারে যাওয়া যাবে কখন বাজারে যাওয়া যাবে না অর্থাৎ জটলা পাকানো যাবে না। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।’

সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থসেবা কেন্দ্রে কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা পরিচালক, ডাক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আছেন… আমাদের হাজিরা যেন ঠিক থাকে। হাজিরা কমে গেছে, হাসপাতালে যেন হাজিরা কম না থাকে।

ছোঁয়াচে রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষার দিকে নজর রাখতে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পিপিই যা লাগে দেবেন। পিপিই অনেক পাচ্ছি, দিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আরও দেব। তবে বিশেষায়িত এই সুরক্ষা পোশাকের সঠিক ব্যবহার যেন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতেও বলেন জাহিদ মালেক।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত