ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাধারণ ছুটির মধ্যে ফের প্রজ্ঞাপন জারি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১৭:১৮

সাধারণ ছুটির মধ্যে ফের প্রজ্ঞাপন জারি

করোনাভাইরাস মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে যেসব পরিষেবা চালু থাকবে, এর ওপর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং জনস্বার্থে চলাচল ও গমনাগমন নিষেধাজ্ঞা অথবা নিয়ন্ত্রণ ও নিবৃত্তিমূলক যেকোনও ব্যবস্থাকালে জরুরি সেবা ও সরবরাহ-শৃঙ্খল যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নিম্নোক্ত পরিষেবাসমূহ যথারীতি চালু থাকবে-

১. জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট এবং এসব সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী।

২. চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী।

৩. ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী।

৪. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, শিশু খাদ্য, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং পশু খাদ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী।

৫. কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি ইত্যাদি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী; কৃষিজ পণ্য উৎপাদন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, দুগ্ধ-পণ্য উৎপাদন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনসহ জীবন ধারণের মৌলিক পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী।

৬. উপরিউক্ত পরিষেবাসমূহ সংশ্লিষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাধারণ ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং জনস্বার্থে চলাচল ও গমনাগমন নিষেধাজ্ঞা অথবা নিয়ন্ত্রণ ও নিবৃত্তিমূলক যেকোনও ব্যবস্থা সংক্রান্ত জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ যথারীতি বলবৎ থাকবে।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে।

জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত