ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে করোনা নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর আসছে কাল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২০, ১২:১৫

অবশেষে করোনা নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর আসছে কাল

অবশেষে করোন ভাইরাস নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) সুখবর দিতে যাচ্ছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ভাইরাসটি শনাক্তে নিজেদের তৈরি কিটের স্যাম্পল সরকারকে হস্তান্তর করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

শনিবার বেলা ১১টায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা একে হায়দার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কিট হস্তান্তর করবে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা যেটা উদ্ভাবন করেছি এটা হল ‘রেপিট ডট ব্লট’। এটা তৈরি করেছেন ডক্টর বিজয় কুমার শীল। তার সঙ্গে ৩ জন তরুণ বিজ্ঞানী আদনান, জমির উদ্দিন ও ফিরোজ আহমেদ ছিলেন। এটা এমন একটা সহজ পদ্ধতি, যে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দেওয়া যায়।

এটা রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের মতো জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের শরীর থেকে এক ফোটা রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বোঝা যাবে যে, সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না।

‘এই পরীক্ষাটার জন্য খরচ খুবই কম। ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা মধ্যে হয়ে যাবে। পলিমারজ চেইন রিঅ্যাকশনের (পিসিআর) মত বড় যন্ত্রপাতি লাগে না, এটা সব জায়গায়- ডাক্তারের চেম্বার প্যাথলজি, ওষুধের দোকান, বিভিন্ন জায়গাতেই বসে পরীক্ষাটা করা যাবে।’

এর আগে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেছিলাম একটা কাজে। তিনি দিলেন বিরাট এক সুসংবাদ। জাতিকে তিনি করোনা শনাক্তকরণ কিট উপহার দিতে যাচ্ছেন ১১ এপ্রিল। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামান্য সহযোগিতা লাগবে। তা পেলে তিনি আশাবাদী, ১১ এপ্রিল থেকে দেশে উৎপাদিত কিটে স্বল্পমূল্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন গাইডলাইনে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে করোনাবাহী মানুষকে চিহ্নিত করে আলাদা রাখার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া আর তাইওয়ানের মতো দেশ এটি করেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে।

করোনাবাহী মানুষকে আলাদা রাখতে হলে প্রথমে তার দেহে করোনাভাইরাস আছে কি না শনাক্ত করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নেই। অথচ বাংলাদেশে শুরু থেকে রয়েছে শনাক্তকরণ কিটের মারাত্মক স্বল্পতা। পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেও কম মাত্রায় হলেও এ সংকট রয়েছে। ফলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট বের করার ফমুর্লার সংবাদটি মাসখানেক আগে প্রকাশ করা মাত্র তা দেশে বিদেশে আলোড়ন তোলে। ডা. জাফরুল্লাহ ও কিটের ফমুর্লা আবিষ্কারকারী দলের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীলকে নিয়ে সংবাদ ছাপা হতে থাকে প্রায় প্রতিদিন।

ডা. জাফরুল্লাহ আমার সাথে আলাপে ফর্মুলাটি বাস্তবায়ন করে কিট উৎপাদনের কাজে সরকারের বিভিন্ন অকুণ্ঠ সহযোগিতার কথা বললেন। তিনি বিশেষভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার কথা জানালেন। তিনি মনে করেন, এখন শুধু সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটু সহযোগিতা দরকার। সহযোগিতা দরকার বাংলাদেশি মানুষের রক্তে এই কিট দিয়ে করোনা শনাক্তকরনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতির। সেটি দ্রুততার সাথে পেলে ১১ এপ্রিলে তিনি দিবেন সুসংবাদটি।

আমরা এ সুসংবাদের অপেক্ষায় থাকলাম।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত