ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভাষা আন্দোলনের গবেষক মাহবুবের দাফন সম্পন্ন, মরণোত্তর একুশে পদক দাবি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১২

ভাষা আন্দোলনের গবেষক মাহবুবের দাফন সম্পন্ন, মরণোত্তর একুশে পদক দাবি

ইতিহাসবিদ, লেখক, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক এবং ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘরের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এম আর মাহবুবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার বাদ যোহর গোপীবাগ ৮ম গলি সংলগ্ন শহর এলাহি জামে মসজিদে ২য় জানাজা শেষে গোপীবাগ পঞ্চায়েত কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় তার নিজ বাসার সামনে ঝিগাতলায় প্রথম নামজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় তার স্ত্রী, বড় ভাই ফখরুল আলম জুয়েল, মো. পারভেজ ও ভায়রা আবুল কালাম আজাদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এম আর মাহবুব মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫০। তিনি একমাত্র কন্যা মাহী ও স্ত্রী লিপিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখেগেছেন।

অধ্যাপক এম আর মাহবুবের ৫২টি'র অধিক বই রয়েছে ভাষা-আন্দোলনের উপর। এই গবেষণা কালজয়ী। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার মতো গবেষণা আর অন্যজন করেনি।

বড় ভাই ফখরুল আলম জুয়েল বলেন, এম আর মাহবুব ভাষা আন্দোলনের গবেষণায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। এ বিষয়ে প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। এখন তার পরিবারে স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। তিনি কোন স্থায়ী সম্পদ রেখে যাননি। এ অবস্থায় তার কাজের মূল্যায়নে সরকার তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিলে ভালো হয়। আর তিনি ভাষা আন্দোলন নিয়ে যে গবেষণাধর্মী কাজ করে গেছেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো তাকে যেন অন্তত মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি নিজের গরজেই ভাষা আন্দোলনের গবেষণায় দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে গেছেন। সরকারি কোন পৃষ্টপোষকতা ছিল না। তার কাজের মূল্যায়ন সরকারকে করতে হবে।

এদিকে অধ্যাপক এম আর মাহবুবের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এনায়েতুল্লাহ কৌশিক এক বিবৃতিতে বলেন, ভাষা আন্দোলনের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে এম আর মাহবুব তার জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। সে অর্থে তিনিও একজন ভাষাশহীদ। আমরা তার ধ্যান-জ্ঞান দেখেছি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণাকেন্দ্রিক। তবে তিনি ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে গবেষণা করে যে অবদান রেখেছেন, তার জীবদ্দশায় তাকে একুশে পদক দেওয়ার দরকার ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, ভাষা আন্দোলনে তার গবেষণায় অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হোক।

তাছাড়া বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রামীণ ফটোসাংবাদিক সোসাইটি, সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম, আসাস ক্রিতিক একাডেমি, বাংলাদেশ লোক ও চর্চা পরিষদ, বাংলাদেশে মুসলমান ইতিহাস সমিতি, ঐতিহাসিক ভাষা দিবস পরিষদ এক যুক্ত বিবৃতিতে তার পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তার এম আর মাহবুবের কাজের রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত