চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে এসপির উপহার

পিরোজপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ মোকাবেলায় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসা করে তাঁদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে উপহার সামগ্রী ও চিঠি পাঠিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) হায়াতুল ইসলাম খান।

পুলিশ সুপারের চিঠি পেয়ে চিকিৎসকেরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তাকেও চিঠি পাঠিয়েছেন। করোনাকালে সেবাদানকারী দুই পেশার কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগীতা মূলক মনোভাব প্রকাশ করে ওই উপহার সামগ্রী বিনিময় বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রেকর্ড তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুলিশ সুপার জেলা সদরসহ জেলার সকল উপজেলায় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চিঠি দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তাঁদের কাজের প্রশংসা করে পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। চিঠির সঙ্গে উপহার হিসেবে চকলেট ও মগ পাঠিয়েছেন।

নিয়মিত পুলিশ কর্মকর্তারা চিকিৎসকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। যে কোন প্রয়োজনে চিকিৎসকদের ফোন পেয়ে দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন পুলিশ।

জেলার নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে বারী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা পুলিশ সুপারের চিঠি ও উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁকেও চিঠি ও উপহার পাঠিয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ, মৃত ব্যক্তির দাফন, হোমকোয়ারেন্টাইনে ও লকডাউন করার ক্ষেত্রে পুলিশের কাছ থেকে খুব সহযোগিতা পাচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় পুলিশ সুপারের পাশে থাকার অঙ্গীকার আমাদের কাজ করায় আরো উৎসাহ দিচ্ছে।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও ) নিজাম উদ্দিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, পুলিশ সুপারের চিঠি ও উপহার পেয়ে আমাদের ভালো লেগেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সব সময় আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এ সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। পুলিশ সবসময় তাঁদের পাশে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। একথা জানিয়ে তাঁদের কাজের প্রতি উৎসাহ দেওয়ার জন্য চিঠি ও উপহার সামগ্রী দিয়েছি।

থানার ভারপ্রপাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়মিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বলেছি। দেশের এক সংকটকালে চিকিৎসকদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য আমি তাঁদেরকে সহযোগিতা করার নিশ্চয়তা জানিয়ে সাধ্যমত খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম