ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে ১৬ হাজার মুরগির মৃত্যু

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ১৭:৫৫

হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে ১৬ হাজার মুরগির মৃত্যু

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ২০ খামারে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ হাজার সোনালী মুরগি মারা গেছে। গত দুইদিনে ইল্লা, ডুমুরিয়া ও কমলাপুর গ্রামে এসব মুরগি মারা যায়।

রোববার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুরগির খামার পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরিক্ষার জন্য বরিশাল গবেষণাগারে প্রেরণ করেন।

উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে ছোট-বড় শতাধিক পোল্ট্রি মুরগির খামার রয়েছে। তার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০টি রয়েছে সোনালী মুরগির খামার। যার মধ্যে অধিকাংশ খামার ইল্লা, ডুমুরিয়া ও কমলাপুর গ্রামে।

ইল্লা গ্রামের খামারি লিপি বেগম জানান, তার অসুস্থ স্বামী ফরিদ হাওলাদারসহ তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। স্থানীয় ডিলার শংকর তফাদারের কাছ থেকে বাকিতে ৪ হাজার সোনালী মুরগির বাচ্চা ও খাবার এনে দুটি খামারে লালন পালন করছেন। করোনাভাইরাসের কারণে মুরগি বিক্রির সময় হলেও তা বিক্রি করতে পারেননি। বর্তমানে প্রতিটি মুরগি এক কেজির উপরে ওজন রয়েছে।

শনিবার সকালে মুরগির খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পান খামারের অধিকাংশ মুরগি মরে রয়েছে। বাকি মুরগি শরীর কাঁপছে এবং মুখ দিয়ে পানি পরছে। এভাবে ২ থেকে ৩ মিনিট পর আক্রান্ত মুরগিও কাঁপতে কাঁপতে মারা যায়।

একই গ্রামের খামারি শহীদ হাওলাদার বলেন, ধার দেনা ও ডিলারের কাছ থেকে বাকীতে ঈদে বিক্রির লক্ষ নিয়ে ৫টি মুরগির খামারে ৭ হাজার মুরগি পালন করি। গত দুই দিনে আমার ৬ হাজার মুরগি মারা যায়। বাকি এক হাজার মুরগি নামে মাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছি।

ইল্লা গ্রামের বেকার যুবক খামারি নাজমূল ঘরামী বলেন, আমার খামারের মুরগি মরা শুরু করলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালেও কোন চিকিৎসক খামারে আসেনি।

স্থানীয় ডিলার ও খামারি শংকর তফাদার বলেন, আমার বাড়িতে ব্যক্তিগত ৩টি খামারে প্রায় ৬ হাজার এক কেজি ওজনের সোনালী মুরগি ছিল। তার মধ্যে ৫ হাজারের অধিক মুরগি মারা যায়। এছাড়া অধিকাংশ খামারে আমার ৩০ লক্ষ টাকার উপরে বাকিতে বাচ্চা ও খাবার সরবরাহ করেছি। এছাড়া আমার কোম্পানি মুরগি মারা যাওয়ার খবর শুনে কোম্পানির পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে।

গৌরনদী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মাছুম বিল্লাহ ডাক্তার না যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে রোববার অজ্ঞাত রোগে মুরগি আক্রান্ত তিনটি গ্রামের খামারগুলো পরিদর্শন করি। খামারিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। প্রতি খামার থেকে মরা মুরগির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরিক্ষার জন্য বরিশাল গবেষণাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর অসুস্থ মুরগির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত