ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্পান

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ মে ২০২০, ০৬:৩৩

সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্পান

বাংলাদেশের উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত আনার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার ভোর রাত থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও শক্তিশালী আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

বুধবার রাত ৩টার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বুধবার রাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে। এই দুটি বন্দরের আশপাশের অঞ্চলও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলেও সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বুধবার ভোররাত থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। তখন গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘন্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে ৫-১০ ফিট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে কপোতাক্ষ,খোলপেটুয়াসহ সুন্দরবনসংলগ্ন সকল নদ-নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্বি পেয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সকল ধরণের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত